আমাকে শোধ দিতে এসে ঋণ করে গেছি  তোমায়
যে চেনা চাদরের বিলাসী ফুলের কাটা বিলিয়েছে গন্ধ -
আমার হৃদয় বিছিয়ে দিয়েছি সেখানে-
সহজে এড়ানো প্রশ্নের যাতাকলে পড়ে,
উত্তরের অকাল মৃত্যুর শ্রাবণে ঝড়িয়েছি তোমায় নিরবতা-
হাঁড়িতে বাষ্প ওঠা দেখে,
দূর্ভাগ্যে পোড়া কাঠকে ঠেলে  দিয়ে গেলে পুড়তে?
বুকের ঘরের দেয়ালিকায় টাঙ্গানো
অতীত বৃষ্টির নীল নকশা আঁকা বিস্মৃতির কথোপকথনে-
দেখেছি চোখ আমাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে জলের আদরে-
উপোস হৃদয় করুণা করছে দুঃখকে সুখের দূর্ভিক্ষে-


জীবিত থাকার নিরাশায় চিন্তার ডানাহীন প্রজাপতি ছটফট করতেই
আমাকে মনে করেছে মাটির সংযোগ-!
শব্দের শোষণে অবারিত নিঃশ্বাস
কবিতার অক্ষরে ঝুলিয়েছে বিশ্বাসী নথিপত্র-!
সেখানেও ছিলো লেখা-
দীর্ঘশ্বাসের ঘ্রাণ ছুঁয়ে আমারে টেনে নাও,আমাকে ম্লান করে নয়--
বানভাসি, আমার কোনো নদী নেই,
এখানে আমার মেঘদল ভারি-
বানভাসি, তুমি এলে ভাসিয়ে  নিয়ে যেও আমায়
গড়ে তুলে নিও কালো মেঘের বাড়ি-!