রাত জানে দুঃখীরা নিঃস্বার্থে আঁধারে ঘুমায়-
নৈঃশব্দে আস্তাকুঁড়ে একলা ব্যাথায় মন জুড়ায়!
তুমি বা আমি নই-কেউ কি নই,
যার পৃথিবীতে নিনাদে ফোটে ভোর-
মিলছে না শব্দ-
কবিতার লাল পঙক্তি  আশায় আছে,
মিলবে কি দেখা আলোর?
কে শুনবে উপেক্ষিত নিকৃষ্ট আকাশের মেঘের কম্পন?
কে বুঝবে বুক ফাটা হাসির সুরে দীর্ঘশ্বাসের করুণ মরণ?
ডেকে নিয়ে গেলো এক সভ্যতা তারে বালি মেশানো কাচের সমুদ্রে-
প্রতিবিম্বের অকাল দৈন্যতায় ছায়াহীন দেখালো পোড়া রৌদ্রে!
তাদের প্রার্থনা,'ঘামতে দিও সূর্য'!
ঘাম চুষে খেয়ে যে গাত্র এনেছে  বল-
তোমার বিদ্রুপ কন্ঠে বড়লোকি মিছিলে-
বুক উপচিয়ে কারা নামালো রক্তের ঢল?
আজ কে ত্রান দেয়,ভুখা মরে পড়ে আছে ঐ দুঃখীদের কাতারে-
খ্যাতির চূড়ায় উঠলে নাম, জোর করে ফুল ফুটতো কবরে!
বান্ধবহীনতা,অমানবিকতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে করলো অনুযোগ
তোমার আমার দোষ পেলেই মনুষ্যত্বের হয় ভীষণ রোগ!