আনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার কিছু ইচ্ছে মরুক-
মাথায় শ্রী-হীন এলোমেলো রুক্ষ্ণ চুলের ঢল নামুক,
সুন্দর হাসির ভীড়ে লুকোনো এক থোবড়া মুখ কথা বলুক,
ভরা পাকস্থলি অপচয়ের মিছিলে প্রতিবাদ তুলুক,
প্রয়োজন খেয়ে নিঃস্বার্থতা স্বার্থের বিছানায় শুয়ে পড়ুক,
ভেতরে ভিন্ন এক একা মানুষ জন্মাবধি কান্না করুক!


আমার কিছু পরাজয় ঘটুক-
লিখিত কোনো অভিযোগ পত্র বাতাসের খামে আসুক,
অর্থের দায়ে চুপসে যাওয়া মুখ নিয়ে,
দরজার সম্মুখে দাঁড়ানো ভিক্ষুকের খালি দু'হাত নিয়ে,
পাথরের চাপা কান্নায় মাটিকে ভিজিয়ে দিয়ে-
আমি কেবলই বৃষ্টির কাদায় রেখে যাবো ভুল পদচিহ্নের ছাপ!


তারপর আমার নাম রাখা হোক 'দুঃখ'
যার কাঁধের ভেতর মাথা গুঁজে গ্যালে নিজেরে বোঝা মনে হবে না-
ফানুস উড়ালেও উৎসবের দিন একাকী স্মৃতির মোম গলবে না!
ছাউনি দেয়া খড়ের ঘরটা ঝরের কাছে অনুরোধ করবে না-
দেয়ালের পিঠে ইট ভাঙ্গার গল্পে অজুহাত থাকবে না!


এখন আমাকে প্রশ্ন করো পৃথিবী,
আমি কিভাবে জীবন আঁকি?
উত্তরঃসরল চোখের জল বেরুলে
কঠিন হাতে মুছতে থাকি!