ভরা পূর্ণিমার রাতে তিক্ত আলোর স্বাদ গ্রহণে জীবন মেটাই-
অন্তরে বহুকাল অনশনে দিকশূন্য চোখে আগুনের বাশি বাজে!
আমায় দেখে হিংসার শোকে নিরব যাত্রায় মহাকাশে তুলছে কেউ!
কখনো নরপিশাচের দল চিনে রাখছে তাদের যোগ্যতায়!
রাজনীতির সেবক আমায় তুলছে অজেয় হাসির ঝরণায়!
শিক্ষিত মহাপুরুষ আমায় উলঙ্গ করে সমাজকে ঢেকে রাখে!
রংশিল্পীরা কাঁচা রক্ত দিয়ে রংতুলির আঁচড়ে দূর্ভিক্ষের ছবি আঁকে!
কপাল পোড়া মানুষগুলো ভগ্ন পৃথিবীর অবকাশ থেকে মুক্তি চায়!
এতসব হুলুস্থুল আয়োজনে আমায়  বেঁচে থাকতে হয়,বাঁচতেই হয়!
কিছুসময় পর নদীর পাড়ে ক্লান্ত ধ্বনিরা নির্জন স্রোতে গর্জে ওঠে-
কিছু ঢেউ কানের কাছে মুখ লুকিয়ে বলে-
সবাই যেন সবার ভিতর না বুঝে নিজেকেই বুঝতে থাকে।
অথচ অদ্যকাল আমার মৃত্যুতেও কবর খুঁড়বে যারা,
অবুঝ মন কি তাদের বোঝাবে শূন্য আশাতেই বাঁচে এ অধরা?