হে নারী তুমি আসলে কে?
তুমিতো সে যে প্রথম আমার হৃদয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছো, চিনিয়েছ আমার ঈশ্বর ও আমার জন্মদাতা পিতা কে , একটু একটু করে বড় করেছ  নিরুপম মায়া মমতা আদর স্নেহ ও তোমার বুকের নির্যাস দিয়ে। শিখিয়েছো আদব-কায়দা শিষ্টাচার ও মনের ভাব প্রকাশের কৌশল কে ।


হে নারী তুমি আসলে কে?
তুমিতো সে যে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে আমার সুখ-দুঃখকে ভাগাভাগি করে নিয়েছো তোমার জীবনের সাথে। সারাদিন আমার ঘর সামলে সাঝের বেলা ঠুনকো বিষয়ে অভিমান করে নিশিতে থাকো মিশে আমার বুকের সাথে।


হে নারী তুমি আসলে কে?
তুমিতো সে যে সমাজের সকল  অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে মেনে নাও সকল অন্যায় অবিচার কে। জীবন যুদ্ধ জীবিকার জন্য নিত্যদিন ক্ষত বিক্ষত হও হিংস্র মানুষরুপি নরপিশাচ এর কাছে।


হে নারী তুমি আসলে কে?
তুমিতো সে যে আমাকে বিপথগামী করেছিলে কিশোর বয়সে। ডেকেছিলে চোখের ইশারায়, আটকে রেখেছিলে মায়ার জালে। শিখিয়েছিলে ছলনা, মিথ্যা, প্রেম-ভালোবাসা, ঠেলে দিয়েছিলে অন্ধকার নেশার জগতে, ধ্বংস করেছিলে আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ কে।


হে নারী তুমি আসলে কে?
তুমিতো সে যে সমাজটাকে নিয়ে গেছো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্বাধীনতার নামে নিজেকে তুলেছ নিলামে । নাক- লজ্জা ভুলে টাকার বিনিময়  নিজেকে উপস্থাপন করো নর্তকী বেশ্যা হয়ে।