ফিরে আসুক সেই নুঁপুর-চুঁড়ি- আঁলগা খোঁপার বাঁধন,
ভস্ম পৃথিবী ঠেঁলেঠুলে উন্মুক্ত সে গগন।
কেটে যাক ঘোলাটে কুয়াশার আবর্তন,
আধঁ-আধঁ চাহনীর আধঁ গলাডুবির আস্তরন।


ফিরে আসুক জলতরঙ্গে ঢিল- দূর্বাঘাসের পতন,
দীঘির জলে ডুবে থাকা মুহুর্ত অতল।
ফিরে আসুক নিঝুম অরণ্য- ঝুমঝুম বর্ষণ,
ভেঁজামাটির সুধায় সেই সে দু'জন।


ফিরে আসুক সে হাসি-কাঁন্না-অভিমান,
লজ্জা রাঙ্গা মুখ- আঁচল সুবাসিত ঘ্রাণ।
ফিরে আসুক রৌদ্রছাঁয়া- সাদা সাদা মেঘ,
আকাশ পানে চেয়ে থাকা নিশ্চুপ আবেগ।


ফিরে আসুক প্রস্ফুটিত ফুলের সুবাস,
ভাঁঙ্গা ফুলদানি লাগুক জোঁড়া।
ফিরে আসুক সেই সে মাঁয়াবী বিষাদ,
অভিমানী আবদারে পঙ্খীরাজ ঘোঁড়া।


ফিরিয়ে দাও আমায় সেইসব সমাবেশ,
সেই সে বিকেল, সকাল-দুপুর-রাত;
আবার উড়িয়ে দাও ছোট্ট সে ঘুঁড়ি,
ফিরিয়ে দাও সেই সে নাটাই সেই সে হাত। ।


রচনাকাল:
০৫/০৩/২০১৪
দুপুর ০৩:১০