ঘাটের কিনারায় আছে বসে লাজুক চাহনী অবনত তাঁর;
জলের স্পর্শ আলতা রাঙ্গা পায়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে বারবার।
সাদা শাড়ী আর লাল পাড়ে এক মায়াবিনীর প্রতিচ্ছবি;
ঝুমুর ঝুমুর পায়েলের শব্দ হয়তো কোন অশনি সংকেত!
চিঁকন কোমল হাতে লালচুঁড়ির শোভা ঠোঁটে লাজুক হাসি;
দীঘল কালো চুলের বেনীর পরতে চুল তার কবে কার শিল্পের ছোঁয়া;
বা'কানের উপরে এটে আছে একটি লাল গোলাপ বিকশিত করেছে সকল সৌন্দর্য্যকে।  


অদ্ভুত সুন্দর তোমার ঐ ভেজা অঁধরের মিষ্টি হাসি;
আছে চোখের কোণে কিছু একটা বলার আকুতি;
ভাল লাগে লজ্জা রাঙ্গা হয়ে আঁচলে লুকানো মুখ তোমার লজ্জাবতী।
মুগ্ধ বিকেলের তোমাকে দেখেছি আমি মুগ্ধতার সমাবেশে;
চাই আরও একটুখানি মুগ্ধতা পবিত্রতার আলতো পরশে;
গোধুলী লগনে হারিয়েছি এই আমার আমিকে।।


তোমার চোখে আমি আমার মরণ দেখেছি;
দেখেছি আমার সিক্ত মনের আত্মসমর্পন।
কি যেন বলতে চায় তোমার ঐ ছলছল চোখ;
আমি পড়ে নিয়েছি তোমার সে চোখের ভাষা।
তোমাতে পেয়েছি খুঁজে আমি আমার তুমি;
যাকে নিয়ে লিখেছি গল্প আমার সন্ধ্যামালতী আর চন্দ্রিমা সেনের।
বেঁধেছি সুর আমার বনলতায় বলেছি সুরঞ্জনা ঐখানে যেওনাগো তুমি;
তুমি সেতো আমার তুমি ...।।


রচনাকাল
০২/০৮/২০১৩
সকাল ১০:০০ টা