ইট-পাথরের গড়া জঙ্গল, লোহা দিয়ে ঘেরা,
রঙ-বেরঙে জ্বলে বাতি, যেন রাতের তারা।
কত জাতের মানব শত, করে চলাচল,
কারো মুখে সুখের হাসি, কারো চোখে জল।।


দুঃখ সুখে যায় কেটে দিন, যখন আঁধার ঘনায়,
দিনের সারা অশ্রুধারা, আসে নয়ন কোণায়।
দিন-রাতকে করিয়া এক ঘুরে পেছন টাকার,
পাইল, খাইল, দিল, নিল থাকল কত আর।।


হতভাগা মা হারালো দেখল না সেই মুখ,
আঁচলতলে ছিল যাঁহার, ধরার শ্রেষ্ঠ সুখ।
কান্নার জলে ভিজল বালিশ, নিয়ে ব্যাথা বুকে,
না ফেরাতে হারিয়ে গেল, মা ডাকিবে কাকে।।


সারাদিন বয়ে লোহা রাত্রিকালে জর,
নেই পাশে তার বলবে যারে আমায় একটু ধর।
মা জননী থাকত পাশে ধরত খোকার হাত,
বোনটি তাহার হাতটি ধরে, কাটিয়ে দিত রাত।।


দিন-মাস আর বছর ঘুরে ঈদের দিনটি আসে,
কাউকে না পেয়ে বক্ষ অশ্রুবন্যায় ভাসে।
ছোট্ট বোনটি বলত দাদা, মাথার জন্য ফিতা,
জুতো জোড়া না আনিলে, বলব না আর কথা।।


মালিক মত করতে গিয়ে, কেউ হারাল দিশা,
না পেরে সে সইতে জ্বালা, কেউ হারাল ভিসা।
পুলিশ ভয়ে পারেনা আর, করতে চলাফেরা,
আধো ঘুম চমকায় রাতে, ভয়ে আত্বহারা।।


সুখ পাখিরে খুঁজতে এলাম হয়ে দেশান্তরী,
পাহাড় সম জমা ব্যথায়, ধুকে ধুকে মরি।
একটু খানি সুখের আশায়, আজও অবুঝ মন,
দাও ফিরিয়ে সুখ পাখি মোর, ”ওহে প্রবাস জীবন”।।