সূর্য্য ছিল ডুবু ডুবু, শেষ দিগন্তের কূলে,
ময়ূরীর ন্যায় যাচ্ছিল কেউ, ঝুমুর ঝুমুর তালে।
ডুবু সূর্যের সোনালী কিরণে,
জ্বল-জ্বল যেন মুক্তার আবরণে,
চাহনি মোর ছিল সেখান, রুপ কুমারী পানে,
নিসাড় ছিল দৃষ্টি-পলক, লাগল দোলা মনে।।


হৃদকম্পন বাড়ল দিগুন, অন্তঃকরণ ব্যাকুল,
চঁন্দ্র নহে, নহে সূর্য, রুপ ছিল তার অতূল।
ছিল বাঁক তার কালো কেশে,
মেঘমালা তুল দূর আকাশে,
থমড়ে দাঁড়ায় উর্মি মালা, নীরব তীরে ঘেঁষে,
ধন্য তীরের উড়োকণা তার চলার পরশে।।


থেমে গেল শীতল হাওয়া, উড়তিকণার খেলা,
আহাটপরশ হল যেন বিন্দু মিলন মেলা।
অস্তবেলার রশ্মি আলো,
মুছে ধরায় নামবে কালো,
মুখচ্ছবি করল বন্দি হৃদি আপন করে,
প্রেম নামের বাতি সেদিন জ্বলল মনের ঘরে।।


ভাবান্তরে কিরণের ডুব নাহি হবে এখন,
লাজুক লালী, পাষান সোনালী, ভাবলনামায় আপন।
ঘনায় আঁধার হল কালো,
গিরিবরের ভাঙল ঢালো,
ক্ষনিক দেখা দূরীর কণা সুদূর মরিচিকা,
যামিনী মোর কেড়েনিল, সেই যে অনামিকা।।