আদিকবিকে/আলিউজ্জামান


কপালের শরিয়তের ঘাম মুছে ,কোন মারফতে
খবর পৌঁছেছে মেয়ে ছেলের বুকে!
জিজ্ঞেস করি আদি কবিকে ।
এখানে রাত নামে অনেক আগেই ।
ভরা জোছনায় যন্ত্রণার হাট থেকে যাদেরকে সঙ্গে করে এনেছিলাম জনমসুদ্ধ করবো বলে ,
তারা কোনো ভোরের ছাগলের দড়ির হলুদ দাগে রক্ত ও বিষ্ঠার সমারোহে ডুবলো মৃত্যুপুকুরে।
তাদের অস্থি বিসর্জনের নামে বাজারে আমদানি করা হয় হাইব্রিড ফুলকপি যেনো আমারই জিভ উল্টোপথে এপিগ্লোটিসের কার্যক্রম নষ্ট করে ফেলে।
তারপর হে আদিকবি আমি স্থির হতে পারিনি এখনও,
আমারই মুখ অবয়বে কাদা ও চুনকালি ছেপে।
ধর্ম ও ধর্মান্তরকরণের ক্ষরিত লবণের অগ্রভাগে
জাতাপিষ্ট আটার ঘ্রাণ শুকিয়ে দিতে ইচ্ছে করে
স্বপ্নালোকে পাওয়া বিচ্ছিরি নর নারীদের।
তারা কোন কথা বলে কোন কথাকে কবুল করে মাঝরাতে ,
তাদের সমস্ত শামুক খোলস , নোঙরের দড়ি এসবের মূল্যে কিনে নিয়েছে ফুল কাটার কাচি,
তাদের সৌন্দর্য্য চায়,
নানান উপকরণের সমীকরণে তালগোল করে হিসেব মিলিয়ে ফেলে ,
রাত নামার অনেক আগেই এই রাতে।
আলোর শেষ প্রান্তে কখনও পৌঁছবনা জানি
যেমন পৌঁছেছিল জেরুজালেমে যীশু
হেরা পর্বতে মুহাম্মদ ,
বুদ্ধ বোধিবৃক্ষে জীবনানন্দ ধর্মতলায় ।
তবুও আঙুলগুনি
যেমন আঙুল গুনে অজগর ধেয়ে আসে বইয়ের পাতায় ।
তার হিসেব লিখে রাখবে কোন খাতায়,
তুমি বলে দাও হে আদি কবি।
কেননা আমি স্থির নয়,
কেননা আমার ঘর বিক্রি হয় হাটবারে ,
কলতলায় গনিকাদের গতরাত্রের ঘ্রাণে।