দেখতে ছেলেটা অনেক সুন্দর, বেশ সুদর্শন
চাল চলনেও বেশ পটু, ভালো একটা মন।
ভালো লাগার জিনিসগুলো ছেলেটার কাছে জীবন
ভালো থাকতে ভালো লাগার বেশ প্রয়োজন।
ছেলেটা যখন ক্লাস ফোর এ হটাৎ একদিন বিমোহিত হয়
তার ক্লাসের একটা মেয়েকে পরীর মতো মনে হয়।
মেয়েটা ছিলো বড় ঘরের ছেলেটা নিজেকে ছোট ভেবে,
দিনের পর দিন কেটে যায় মেয়েটাকে দেখতে দেখতে।
হাইস্কুলে দুজন আবার একই স্কুলে ভর্তি হয়
ছেলেটা হয়তো এবার ভাবে কাটবে সকল ভয়।
হাইস্কুলের দুইটা বছর দেখতে দেখতেই পার হয়ে যায়
এখনোও মেয়েটাকে কোনকিছু না জানিয়েই রয়ে যায়।
ছেলেটার ভালোলাগা কবে যে ভালোবাসায় রুপ নিয়েছে
তাকে ছাড়া থাকতে এখন আরে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
ছেলেটা ভাবে মেয়েটাকে সবকিছু বলে দিলে
যদি মেয়েটা প্রত্যাখ্যান করে তবে ত সবই গেল জলে।
হতাশা বিষন্নতা আর চিন্তাভাবনায় এভাবেই সে স্থির থেকে যায়।
ভাবতে ভাবতে এস এস সি শেষ, পা রাখে কলেজ বারান্দায়।
এদিকে আবার মেয়ের পিছু ছেলেটা যায় একই কলেজে,
এবার ছেলেটা হয়তো ভাবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
সারাদিন ক্লাসের ফাঁকে আড়াল থেকে দেখে মেয়েটাকে
অসাধারণ তৃপ্তিতে যেন, মন ভরে যায় জীবন বাঁকে।
ছেলেটা ভাবে আর কিছু চায়না তার জীবনে
জীবন তার ধন্য হবে তাকে পেলে এ ভূবনে।
ছেলেটা ভাবে মেয়েটার হাসিতেই তার কষ্টগুলো দূরে যাবে
একসাথে থাকবে দুজন, দুজনকে আগলে ধরে।
হঠাৎ কদিন মেয়েটা কেন যেন, কলেজে আসেনা
ছেলেটা তাকে না দেখে মনে থাকে না কোন সান্ত্বনা।
পাগল হয়ে খুঁজতে থাকে মেয়েটার কী হয়েছে
একদিন সে খবর পায় মেয়েটা বাড়িতেই আছে।
এদিকে ছেলেটার কলেজে কোনভাবেই ভালো লাগে না
মেয়েটার জন্য সারাক্ষণ করে শুধু মন-কান্না।
হঠাৎ একদিন তাকিয়ে দেখে মেয়েটা কার বাইকে যেনো
মেয়েটাকে কলেজে নামিয়ে বাই জানিয়ে চলে গেল।
ছেলেটা একজনকে জিজ্ঞেস করে বাইকওয়ালা ছেলেটা কে?
সে শুনতে পায় বাইকওয়ালা ছেলেটা মেয়েটার হাসবেন্ড,
কিছুদিন হয় মেয়েটার বিয়ে হয়েছে।