অলভ্য ঘোষ-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে অলভ্য ঘোষ-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:2782cc4c-711d-4403-b8f7-50c47540831c;id=15622024-03-29T06:44:29Zhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/post20160807103758/ক্ষমা-করিবেন রবীন্দ্রনাথ2016-08-07T22:39:24-04:002023-06-24T18:28:20-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>রবীন্দ্রনাথ ; ঠাকুর হইতে চাহে নাই আমরা তাহাকে ঠাকুর বানাইয়া ছাড়িয়াছি। </p>
<br /><p>"আপনায় স্থাপিয়াছ, জগতের দেবতারে নহে।"</p>
<br /><p> কবি গুরুর পাশে আপনার ছবি সাঁটিয়া য়াহারা লিখিয়া রাখিয়াছে লহো প্রণাম তাহারা কি একথা জানেন । তাহারাও কি একথা জানেন যাহারা কোন এক ভিক্ষুকের মুখে "রক্তকরবী"কে অক্তকবরি শুনিয়া নাক সিটকাইয়া ওঠেন পঁচিশে বৈশাখে।মেলচ্ছের মুখে রবীন্দ্রনাথ শুনিয়া যারা জাত গেল ভাব প্রকাশ করেন;তাহারাও রবীন্দ্রনাথকে কতটুকু বোঝেন। চৌমাথার মোড়ে প্রত্যেক ক্রসিংয়ে কর্কশ যান্ত্রিক বাদ্যযন্ত্রের সাথে রবীন্দ্রনাথ মিলাইয়া যাইতেছে । </p>
<br /><p>শান্তিনিকেতন আজ চরস সেবনের আড্ডা হইয়া উঠিয়াছে । <br />এমন রবীন্দ্র প্রীতি দেখিয়া স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ আর <br />মর্তলোকে ফিরিয়া আসিবেন বলে মনে হয়না । <br />সোনার তরীরে কাঁধে করিয়া বহন করিয়া চলিলাম বাহন করিতে<br />পারিলাম না । </p>
<br /><p>ক্ষমা করিবেন রবীন্দ্রনাথ ;এবার জন্মাইলে দয়া করিয়া আর কবিতা লিখিবেন না .....গান গাহিবেন না । আপনি রাখাল হইতে চাহিলে আমরা বুঝিব কৃষ্ণ কানাই। আপনি ভিক্ষুক হইতে চাহিলে আমরা বলিব হরিষ চন্দ্র !</p>
<br /><p>আপনার আমরা মূরতি গড়িব ; মূরোতি ধরিব না ।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/post20160726065303/বৃষ্টি ও খোকা2016-07-26T07:06:57-04:002023-06-24T18:28:20-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\ভিজে হলি কাক ভেজা ।<br />আমি বলি তাকে থাম\আর বাড়াস নেক দাম ।\গ্রীষ্মে পুড়ে হয়ে গেছি ভাজা ভাজা ।<br />বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\সর্দি হলে বুঝবি ।<br />আমি বলি তাকে থাম\আর বাড়াস নেক দাম ।\তুই কি আমার নাক মুছবি !<br />বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\মায়ের কাছে খাবি তুই বকুনি ।<br />আমি বলি তাকে থাম\তুই বাড়াস নেক দাম ।\অনা-মুখ তুই লোকে খুঁজে নেয় ছাউনি ।<br />বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি আজেবাজে বকছিস ;\আমাকে পেতে ভিজছে শহর কতকি !<br />আমি বলি তাকে থাম ;\তোতে ভেজে যত অধম \পশু ,পাখি আর মাঠ ,ঘাট প্রকৃতি ।<br />বৃষ্টি বলল তাই\করছিস বড় বড়াই ।\বুঝবি বটে অনাবৃষ্টি হলে ।<br />আমি বলি তাকে থাম \তোর দেমাগের বদনাম\ফি বছর জলে ভাসি বর্ষা এলে ।<br />বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি আজেবাজে বকছিস ;\এতো অপমান তবে আমি যাই চলে ।<br />আমি বলি তাকে থাম \ভাল লাগেনা রোদ্দুর আর ঘাম ।\তুই এলে শুধু খেলার সাথি মেলে ।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/post20160721032826/ইসলাম2016-07-21T03:28:58-04:002023-06-24T18:28:16-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>(গুলশানের খুনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে)<br />চোদ্দশ বছর ধরে রক্ত স্রোতে কাঁপছে মুসলিম।<br />আল্লার ইবাদত;নামাজ,জাকাতের ফরজ যারা<br />পালন করে;সন্ত্রাস ছড়ায় না।<br />মানুষের খুনে বেহেস্তের দরজা যায়না খুলে।<br />ইসলামে কোনও ফতোয়া হয় না নেই কোনও<br />শারিয়া আইন।<br />শোন মূর্খ সন্ত্রাসী কে দিলো তোকে অধিকার<br />ইসলামের নাম করতে বরবাদ। নবীর দায়িত্ব<br />শুধু ঘোষণার;আল্লার দায়িত্ব দুনিয়াময় মানুষের<br />মনে নিজ সাম্রাজ্য কায়েম। ফরজ ইবাদতের নাম<br />জোর খাটানো হতে পারেনা। পয়গম্বর তুমি নও <br />তুমি খুনি।কোনও ধর্মই মানুষকে শাসন করতে শেখায় না।<br />উপদেশ দিতে শেখায়; ভ্রাতৃত্ব শেখায়।<br />ভালবাসতে শেখায়;সহিষ্ণুতা শেখায়;শেখায় সমতা।<br />পরওয়ারদিগারের সত্য পথে মানুষের শান্তি মঙ্গল ঘটে। <br />ভ্রষ্টা!বিভ্রান্তিতে রসুলের দায়িত্ব নিস তোরা!<br />রসুলের দায় বাণী পৌঁছিয়ে দেওয়া।কতল করা নয়।<br />কর্তব্য প্রচার।ব্যভিচার নয়।যার ইচ্ছে বিশ্বাস করুক;<br />যার ইচ্ছে নয় অমান্য করুক সত্য তবুও থাকবে অটুট।<br />ওযে পালন কর্তা থেকে আগত।নবীর কাজ সত্য <br />তুলে ধরা ;সত্য প্রত্যাখ্যাতদের সাবধান করা।বাধ্য করা<br />নয়।পানিতে সাঁতার জানলে মানুষ ভেসে থাকে।না হলে<br />জোর করে ফেলে দিলে ডুবে মারা যাবে।<br />আল্লার নামে নিজেদের প্রতিষ্ঠা চাস কাফের ।<br />মানুষ আর আল্লার মাঝে নবী কেবল একটি বাঁশের সাঁকো।<br />মানুষ আল্লার কাছে পৌঁছে গেলে।সাঁকোর গুরুপ্ত থাকেনা।<br />মানুষকে জোর করে বিশ্বাসী অনুগত করে তুলতে আলাহ <br />নবী-রসুলকে পাঠান নি।পাঠিয়েছেন যুক্তিসঙ্গত কথা<br />সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে মানুষকে সঠিক পথে আনতে।<br />যারা ধর্মের ব্যাপারী।যারা ধর্মের-নামে মানুষের অমঙ্গল<br />ডেকে আনে।তারা আর যাই হোক ধার্মিক নয়। ধর্মের<br />শত্রু।মানবতার শত্রু।পয়গম্বর এর উৎপত্তি পয়গাম অর্থাৎ<br />সুসংবাদ থেকে।নবী কখনো বলেনি;ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে।<br />নবী কখনো বলেনি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম প্রচার<br />করতে।যীশু,হজরত,বুদ্ধ,নানক;কেউয়ই রাজা হতে চাননি।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/post20160720011747/বোধোদয়2016-07-20T01:19:00-04:002023-06-24T18:28:16-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>নৈস্বর্গলোক থেকে নেমে আসা<br />আমি কোন দেব দূত নই সুজাতা!<br />রক্ত মাংসের মানুষ।<br />বোধি বৃক্ষ নিচে এই উপল বেদীর আসনে<br />ভেব না জয় করেছি সব ; কামনা বাসনা,<br />ক্ষুধা-তৃষ্ণা, রাগ- দ্বেষ - হিংসা মানুষের যতো<br />জড়তা শরীরে।<br />ভেব না আমি সমাধি চাইছি। <br />মুক্তির পথে সর্বস্ব ত্যাগী। ভিক্ষা পাত্র রেখেছি সাথে।<br />মানুষের আদিম প্রবৃত্তি গুলো ;<br />শাসন করে বশ মানাতে চাইছি? -না তাও নয়।<br />ওভাবে জীর্ণতা বাড়ে।<br />আমি চাইছি চুম্বন; আমি চাইছি লেহন; <br />আমি চইছি মৈথুন চিরন্তন অনন্তের পথে।<br />ঠিক তোমার ওই সুমিষ্ট সুন্দর পায়েসের মত।<br />কি যত্নে তুমি শর্করা দুধে গুলে বাসমোতী চাউল<br />দিলে তাতে ঢেলে। উষ্ণতা দিয়েছ যতটা চেয়েছ তুমি।<br />দ্রাক্ষা ছড়িয়েছ তাও পর্যাপ্ত পরিমিত। <br />স্বচ্ছ মৃন্ময় পাত্রে সেবানিতে সেখালে ভোগান্ন।<br />আমার এই ক্ষুদার্থ শরীরে সত্যের আত্মা গেছে জেগে।<br />আমার এই বধির কর্ণকুহরে ; মুক্তির বানী আজ বাজে।<br />আমার ক্ষিনো দৃষ্টি পেয়েছে দিশা।<br />মুক মুখমণ্ডলে অনাবিল অমৃতের তৃষ্ণা।<br />অগ্নির রুঢ় সত্যে গড়ে নিলে অবিকল্প <br />সুন্দরে।<br />বুঝেছি নির্বাণ মানে নিয়ন্ত্রণ তেজস্ক্রিয়তার।<br />মোক্ষ মানে হেলায় অতিক্রম জরাজীর্ণতা।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/post20160619112318/ভারচুয়াল প্রেম2016-06-19T23:24:57-04:002023-06-24T18:28:16-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>তুমি আমায় পছন্দ কর ? <br />ক্লিক করে দাও লাইকে । <br />উপহার পাঠাতে চাও ? <br />পাঠিয়ে দাও একগাদা <br />গোলাপ ফুলের ছবি । <br />আমি গন্ধ খুঁজবনা দু চোখ <br />ভরে শুধু দেখব তোমাকে । <br />তুমিও আমাকে দেখতে চাও; <br />চাও উষ্ণতা নিতে ? <br />কল কর ভি ডি ও চ্যাট অপসানে । <br />তুমি আমায় ভালবাস ? <br />একটা ছোট্ট ম্যাসেজ করে দাও <br />আই লাভ ইউ । <br />আমি বুঝে যাব তোমার <br />ভালবাসার গভীরতা ।<br />কিন্তু প্লীজ রক্ত মাংসের আমাকে <br />দেখতে চেও না । আমার অনেক <br />কদর্যতা আছে । এক তরফা <br />দেখলে তুমি শুধু আমাকে ওপর <br />ওপর দেখতে পাও । <br />থ্রি ডায়মেনসানে বুঝবে <br />আমারও অনেক জটিলতা , অজ্ঞতা , <br />খামতি আছে । <br />তোমার ও কী তাই ? <br />কী বলছ ; পুরু মেকআপ করা মুখে ; <br />ধুর পাগল ঘামে আর আকাক্ষ্মায় <br />কোন আস্তরণয়ই থাকে না ঘনিষ্ঠ <br />মুহূর্তে । পিয়াজের খোলার মতো <br />একটা একটা পাপড়ি ছাড়িয়ে <br />নিজেদের বুঝে ফেলার পর যদি এ <br />প্রেমের ঝাঁজ না টেকে ! তার চেয়ে <br />ভাল তুমি থাক শুধু একটা ইমেজে <br />বাঁধানো ছবির ফ্রেমে । হৃদয়ের <br />অ্যালবামে তোমার পাতা উলটে <br />দেখব ; <br />যখন ওয়েব লিংক খুঁজে পাব না ।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130420111712/ফাঁদ2013-04-20T23:17:58-04:002023-06-26T15:34:24-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>ফাঁদ পেতে বসে আছে পাখি-ওলা ।<br />তোতা, ময়না,টিয়ে,দোয়েল,শালিক,<br />মাছরাঙ্গা, পিঙে,বৌকথাকও বিদেশি<br />লিনিওলেটেড, ম্যাকাউ, হলুদ টিয়া,<br />গ্রে-প্যারট, ল্যামবার্ড, রেড রাম,<br />কাকাতুয়া, ডাইমন্ড ডু,পিনথ, ককাটেল,<br />রোজিলা, গোল্ডিয়ান পিচ্চে, পোরপাচ,<br />গোর্কী গালা কাকাতুয়া, লাভবার্ডস ,<br />ফরফাস ,বাজরিগার পেলে সোনায়<br />সোহাগা ।পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি<br />করবে । গেরস্তর দের বারান্দার কোনে<br />খাঁচায় ঝুলবে পাখি । কারবা দাঁড়ে পায়ে<br />চেন বাঁধা অবস্থায় পাখি গাইবে কৃষ্ণ<br />নাম । গৃহস্বামীর সুখ গান গাইতে না<br />পারলে দানাপানি বন্ধ করে দেবে ।<br />সহবত শেখাতে কোন কোন পাখিকে<br />ছাতার কাপড়ে ঢেকে রাখা হবে ;<br />লোক চক্ষুর অন্তরালে ।</p>
<br /><p>পাখিরা ভাবে; পাখি-ওলা কী নিষ্ঠুর ।<br />নিজের জন্য একটা পাখিও রাখার<br />সাধ হয়না তার ।<br />-পাখি-ওলা বলে সাধত হয় ; তবে<br />সাধ্যে কুলয় কই । এই দেখ ম্যাকাউ<br />তুমি কত শিক্ষিত তবুও তোমার দাঁড়<br />চাই । দাঁড়েতে দাঁড়িয়ে থেকে প্রেম হয় ।<br />তার জন্য একটা আকাশ দরকার ।<br />যার খাঁচার মত কোন জালের দরজা<br />নেই । নেই তোমার পায়ের বেড়ির<br />মত বন্ধন ।</p>
<br /><p>পাখিরা বলে ;<br />-তবে তুমি আমাদের ধর কেন?<br />পাখি-ওলা হাসে !<br />-তোমরা ধরা দাও বলেই না;<br />আমি ধরতে পারি ।<br />পাখিরা বিরক্ত হয় !<br />-আমাদের তুমি ঠকাও ফাঁদ পেতে ।<br />পাখি-ওলার হাসি থাকে অম্লান ;<br />-এই দেখ চোরের জন্য দ্বার খুলে<br />রাখলে ; চোর যদি চুরি করে । দোষটা<br />কার চোরের না মনিবের । তোমরা<br />তো আমার ফাঁদে জেনে শুনে আকৃষ্ট<br />হও সখি ।</p>
<br /><p>পাখিরা বলে ;<br />- হবোনা তোমার ঐ তেলা পোকার মত<br />লকলকে শিশ্ন দৃঢ় হলে পরে ; ময়ূরেরা<br />ভাবে সাপ । তোমার ঐ দীর্ঘ বক্ষ যুগল ;<br />যেন স্বর্গের নন্দনকানন । চোখ দুটো যেন<br />শেষনাগের অমৃত হ্রদ । ঠোঁট দুটো যেন<br />সমুদ্রর ফেনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শুধু চুমু<br />খাবার জন্য । বটবৃক্ষের মত তোমার এক মাথা<br />চুল যেন শান্তির নীড় । নাকখানা যেন পায়রার<br />বোমা । দূর দূরান্ত থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে চিনে নেওয়া<br />যায় তোমাকে ।</p>
<br /><p>তার পর বহু দিন কাল হাওয়ার মত উবে যায়<br />পাখি ওলা ঘুণাক্ষরেও টের পায় না । বুঝতে পারে<br />যখন ; তখন তার ঢেঁকির মুখের মত শিশ্নটা<br />নিম্নমুখী । দারিদ্র আর বয়সের চাপে তার প্রসারিত<br />বক্ষ যুগলের হাড়ে এখন পাখির খাঁচার মত ক্ষুদার্থ<br />মানুষের ভাস্কর্য । চোখ দুটো যেন ছানি পড়ে ঘোলা<br />নালার জল । ঠোঁট দুটো যেন উচ্ছিষ্টের ভাগার ।<br />মথার কেশবিন্যাস আজ মরূদ্যান হয়ে ; যেন<br />বসন্ত শেষের পাতা ঝরা গাছ । পাখিদের<br />আকৃষ্ট করার মত পাখি-ওলার আজ আর কিছু<br />নেই । ফাঁদ পেতে সে বসে থাকে । কোন পাখি<br />আর আসেনা তার কাছে । ফাঁদের দড়িতে পড়ে<br />না টান ।</p>
<br /><p>হটাৎ একদিন ভর দুপুরের ঝিমুনির ফাঁকে পাখি-ওলা<br />দেখে ;সাক্ষাত যমের মত একটা কালো কুচকুচে<br />দাঁড়কাক এসে দাঁড়িয়েছে তার সামনে । পৃথিবীর<br />কোন দেশে কে পোশে এই অলুক্ষনে পাখি ।<br />পাখি-ওলা জানেনা । আমস্টারডামে নাকি<br />পতিতাদেরও সামাজিক স্বীকৃতি আছে ; তবু কেন<br />সমাজের নোংরা খেকো ঝাড়ুদার কাকেরা অস্বীকৃতি<br />এদেশে ; তা জানে না পাখির দালাল এই পাখি-ওলা<br />আর পতিতা কাকেরা । তলায় তলায় কাকের<br />উপকার উপভোগ করলেও ; বাড়ির চৌহদ্দিতে<br />কাক দেখলে ; অমঙ্গলের কথা ভেবে গৃহস্বামী<br />তাড়ায় ছে ছে করে ! পাখি-ওলাও বলে ;<br />-হুস যা ।<br />দাঁড়কাক বলে ;<br />-আমার নামের আগে দাঁড় থাকলেও<br />আমি কাকাতুয়ার মত দাঁড়ে থাকি না ।<br />আমাকে ধরো তোমার ফাঁদে ।</p>
<br /><p>পাখি-ওলা রেগে ওঠে ।<br />-বেড় দূর হ । তোকে ধরে লাভ নেই । ছুঁলেই<br />এইডস হতে পারে ।</p>
<br /><p>কাক বলে;<br />-পাখিরা বলে তুমি নাকি পোষার মত পাখিই<br />পাওনি আজ অবধি । যে পাখি বেঁধে নয় ছেঁড়ে<br />পোষা যায় । আমাকে তুমি তোমার গৃহিণী করবে<br />পাখি-ওলা । আমি খাঁচা বা দাঁড় ছাড়াই তোমার পোশ<br />মানব ।</p>
<br /><p>পাখি-ওলা আর রেগে তিরস্কার করে ;<br />-দূর হ ঘাটের মরা ; যমের ও অরুচি !</p>
<br /><p>পোড়ার মুখি কাক তখনো বলে;<br />- আমি তোমার ওপরের হারিয়ে যাওয়া<br />ক্ষণিকের রাংতার<br />আড়ালের চকলেটের মত হৃদপিণ্ডটার<br />ভালবাসায় অকৃষ্ট হতে চাইছি পাখি-ওলা ।<br />ওটা যেন অন্নপূর্ণার হাড়ি কখনো ফুরবে না ।</p>
<br /><p>এবার পাখি-ওলা একটু নরম হয় ; খিদেটা<br />তার চনচনে পেয়েছে বেস । ভাবে যেচে আসা<br />সুযোগ হাত ছাড়া করা কী ঠিক হবে !!<br />একবারও ভাবে না এই প্রথম কোন পাখি পাখি-ওলার<br />বাইরে আবহ বিকারে জীর্ণ শরীর মন্দিরের ফাঁদের নয়;<br />ভেতরের দেব দর্শনের কদর করছে ।</p>
<br /><p>ফাঁদের দড়িতে পড়ে টান ।<br />কাক বলে ;<br />-আমি ধন্য পাখি-ওলা চির কৃতজ্ঞ তোমার কাছে ।<br />পাখি-ওলা কাকের ঘার মটকাবার আগে বলে;<br />-এবার তুই মরবি ।<br />কাক বলে ;<br />-মরেও সুখ ;ভালবাসায় বঞ্চিত হয়ে বাঁচার চাইতে ।</p>
<br /><p>শহরের আস্তে-কুড়ে মানুষের নোংরা আবর্জনা সাফ<br />করতে করতে কাকটা বোধয় বিষাক্ত কিছু পুষছিল<br />নিজের পাকস্থলীতে । সেই রাতেই ভেদ বমিতে<br />পাখি-ওলা মারা গেল কাকের মাংস খেয়ে ।</p>
<br /><p>সকাল হতে না হতে রাজ্যের চিল আর শকুন<br />ছুটে এলো পাখি-ওলার মৃতদেহে আকৃষ্ট হয়ে ।<br />খুবলিয়ে খুবলিয়ে খেল তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ !<br />বাদ পড়-লোনা পাঁজরের আড়ালের হৃদপিণ্ডটাও ।</p>
<br /><p>পৃথিবীতে পাখি-ওলার সেই ফাঁদ পড়ে আছে এখনো ।<br />তুমি পাখি-ওলা হলে কী পাখি ধরবে বলও ?</p>
<br /><p>---------------------------------</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130328113650/হলীর গান2013-03-28T11:37:45-04:002023-06-25T10:50:35-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>কি দিয়ে খেলব বলও দোল<br />রং যা ছিল ;বিবর্ণ আজ<br />তোমরা দাওনি আমল ।</p>
<br /><p>বাসন্তী প্রেম নীল হয়েছে<br />কামের চশমা পরে ।<br />নীল পাত্তি আসলে কাল<br />জমে যার লকারে ।</p>
<br /><p>গেরুয়া ত্যাগীর জিবে তে লাল<br />ঝরে চলেছে জল ।<br />সবুজ শস্য হলুদ হল<br />বারে ভেজালের বাহুবল ।</p>
<br /><p>সাদা শান্তির পেছনে থাকে<br />কালো শহীদ বেদী ।<br />সোনা, রূপো , হীরে,জহরত<br />লুটের বাতাসা গদি ।</p>
<br /><p>কালোয় কালোয় বাদর রংয়ে<br />বোন মানুষেরা হোলি খেলে ;<br />এমন রং কোথায় মেলে<br />মাখলে যে রং ফেঁকাসে গালে<br />প্রজাপতির পাখার মত<br />পৃথিবী ডানা মেলে ।</p>
<br /><p>উঁচু -নিচু , সস্তা -দামি<br />ছেড়ে দিয়ে তুমি আমি<br />এসোনা তাই এই দূর দিনে<br />রক্ত দিয়েই হোলি খেলে<br />রাঙ্গিয়ে তুলি ধরা ।</p>
<br /><p>মরতে যখন হবেই হবে ;<br />রাজার মতো মরবো তবে ।<br />কালো রংয়ের চেয়ে ভাল<br />সাদায় জীবন গড়া ।</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130321043026/এডিক্ট দ্যা নান্ত2013-03-21T04:31:10-04:002023-06-24T18:28:15-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>জামাতেরা ফ্রান্সের সেই ক্যাথলিকদের<br />উত্তরসূরি যারা নির্বিচারে হত্যা করতো ,<br />ঘর পোড়াত, করতো ধর্ষণ প্রটেস্টান্ট<br />ইউগোনোত দের । বাংলা দেশ এখনো পড়ে<br />আছে পনেরশ আটানব্বই যের আগের<br />মধ্যযুগীয় ফ্রান্সে । এখানে ইউগোনোত<br />হিন্দুরা । ধর্মনিরপেক্ষ গণপ্রজাতন্ত্রী<br />সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা<br />সব মুসলমান এখনো কী যোগ দেয়নি<br />মৌলবাদী সংগঠনে ? জামাতে রা কী তাই<br />চায় গোঁড়া মৌলবাদী ইসলামিক চেতনায়<br />সুড় সুড়ি দিয়ে আর একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ?<br />বিগত বেয়াল্লিশ বছরের স্বৈরাচারী সামরিক<br />শাসন আর রাজনৈতিক দলগুলির দূর্নীতিগ্রস্ত<br />গণতান্ত্রিকতা যখন বারুদের স্তূপে পরিণত<br />করেছে সাধারণ নিরীহ মানুষের ক্ষোভ । রাষ্টীয়<br />প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলি ক্রমেই হয়ে চলেছে<br />প্রকট ! সব দৃষ্টি এড়াতে একটা দাঙ্গা খুব<br />জরুরী ? ইসলাম ধর্মের নামে কলুষিত<br />জামাত ও শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে সহিংস্র<br />আন্দোলনে ! লক্ষ্য তাদের প্রগতিশীল<br />গণজাগরণ মঞ্চ ! ওদের জাগিও না<br />ঘুমতে দাও । লক্ষ্য তাদের মুক্তিযুদ্ধের<br />চেতনা-বাহী ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা !<br />না হলে যে মোল্লাদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে ।<br />লক্ষ্য তাদের রাজাকারদের বিচার বানচাল ;<br />কুখ্যাত রাষ্ট্রদ্রোহী জামাতি নেতাদের মুক্তি ।<br />লক্ষ্য তাদের শাহবাগ প্রজন্ম ! জাতির কণ্ঠে যে সাহস জেগেছে ;<br />তাকে অঙ্কুরেই খতম করা! বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কবরে<br />ঢাকা পরা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিকতার বানী<br />আবার যখন কবর ফুরে বেড়িয়ে আসছে ।<br />জিয়া-এরশাদেরাও সক্রিয় সংবিধানের আড়ালে<br />খুন করতে মানুষের অধিকার ।</p>
<br /><p>না ; সব মুসলমান মানেই জামাতে ইসলাম নয় ।<br />কারণ সবাই তো ঘর পোড়ায় না ; নিঃসংকোচে<br />করেনা খুন কিংবা ধর্ষণ । সবাই তো শিরচ্ছেদ করেনা<br />ধর্মের দেব দেবী বিনা কুণ্ঠায় । তারা জানে<br />মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাক-পন্থী মৌলবাদীরা<br />আর যাই হোক ধার্মিক নয় । ধর্মত বিছানায় বিছান<br />চাদর নয় যখন ইচ্ছে নোংরা করে চলে একবার<br />ধুয়ে নিলেই সাফসুতরা । ধর্ম একটা বিশ্বাস যা<br />কলুষিত হলে মরে যায় মানুষের শুভ্র চেতনা ।</p>
<br /><p>উঠেছে জামাত নিষিদ্ধকরণের স্লোগান! সোচ্চার হয়ে<br />উঠেছে প্রজন্ম চত্বর রাজনীতি থেকে ধর্মীয় দলগুলির<br />অপসারণ ; সংবিধানে "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" বাতিলের দাবিতে ।<br />একদিকে শিক্ষিত এক শ্রেণীর জনগণের মধ্যে ধর্মীয়<br />সংস্কারের আবদ্ধতা থেকে মুক্তি ;অন্যদিকে আর এক শ্রেণীর<br />ধর্মীয় উন্মাদনায় বাঙালি জাতীয়তার বিপক্ষে ইসলামিক<br />জাতীয়তা-বোধ জিইয়ে রাখার চেষ্টা-চলছে ভোট বাক্স ভরতে ।<br />পালে জনসমর্থনের হাওয়া টানতে চাইছে<br />আওয়ামী লীগ ও বিএনপি । বাংলাদেশ আজ পরস্পর বিরোধী<br />দুই শিবিরে বিভক্ত! গৃহযুদ্ধের আগে । গত চার দশক ধরে<br />বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলি পুষ্ট হয়েছে মার্কিন<br />পেট্রোডলারের সৌজন্যে! সরকারের হাতপা বাঁধা!</p>
<br /><p>বাংলা দেশে আজ চতুর্থ হেনরি নেই । সাধারণ মানুষের চোখ<br />ঘোরার মত ঢেকে যারা কায়েমি স্বার্থের রথ কখনো ধর্মের নামে<br />কখনো বা সংবিধানের নামে এগিয়ে নিয়ে চলেছে কেউ রাস্তায়<br />নেমে এসে রুখছে না তাদের কে । বলছেনা আর রাজনীতি-ধর্ম<br />দলাদলি নয় । সাক্ষরিত হচ্ছেনা "এডিক্ট দ্যা নান্ত " র মত<br />কোন চুক্তি পত্র । সংখ্যা লঘু ইউগোনোত দিনদিন কমে চলেছে<br />বাংলা দেশ থেকে । অপরাধ তারা জন্মেছে হিন্দু হয়ে । আর কত<br />অভিশপ্ত রিফিউজি হবে বাংলা দেশের মানুষ দেশে বিদেশে । আর<br />কত ধর্ষণ হবে নদী অববাহিকা আর এঁটেল মাটির এ দেশ ।<br />তসলিমার লজ্জা আজো বাঙ্গালীর কুঞ্চিত করেনি ভুরু ।<br />" এডিক্ট দ্যা নান্ত " পুরস্কার ফেলে এসো নাজরিন আর লজ্জার<br />কথা লেখ এই বাংলার । মৌলবাদীরা ঘোষণা করুক তোমার<br />মাথার দাম ; না দিক ঢুকতে আজন্ম এদেশে তুমি থেমো না ।<br />বেহায়া লুটেরা দের কথা লেখ । জিঞ্জেস করো কোরানের কোথায়<br />লেখা আছে ইসলাম মানে ভ্রষ্টাচার ; হিংস্রতা ; পরধর্মের প্রতি ঘৃণা ।<br />মানুষের স্বাধীন বাঁচার অধিকার কেড়ে নেবার চাইতে বড় পাপ এ<br />পৃথিবীতে আর কী আছে ?</p>
<br /><p>অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল ; আন্তর্জাতিক মানব অধিকার সংস্থা<br />সংখ্যা লঘু হিন্দুদের চেয়েছে জরুরী নিশ্চিত নিরাপত্তা । ইফতার দেওয়া<br />নেওয়া দুই পরিবার হিন্দু মুসলমান জাগরিবের আযানের জন্য অপেক্ষা<br />করছে আজ এই রোজার মাসে । এই ইফতার কী " এডিক্ট দ্যা নান্ত "<br />হতে পারেনা ? আর কত কাল পৃথিবীতে নির্যাতিত হবে সংখ্যা লঘু<br />ইউগোনোত ?</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130312071608/কবর2013-03-12T07:16:51-04:002023-06-24T18:28:14-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>যে লোকটা সবার কবর গড়ে<br />তার কবরেরও জমিন রাখা আছে ;<br />মাত্র তিন হাতের বেশী<br />এক চুল সে পাবে না !<br />যে লোক টা ;<br />কবরের মাটির বেদীতে<br />কোদাল ঠুকেঠুকে<br />লুকিয়ে ফেলতে চায়<br />কুমারী ধরিত্রীর পোয়াতি পেট ;<br />ফিনিক্স পাখির মত<br />সেও যখন মরবে<br />মাটি অপসারিত হয়ে উপচে পড়বে<br />গর্ভবতী মায়ের মত ।<br />শেষ ঠিকানা<br />সবার একি জায়গায় লেখা<br />তবু অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজনে<br />কোন খামতি নেই ।<br />মায়ের পেট থেকে<br />পৃথিবীর গর্ভে চালান<br />হয়ে যাবার আগে যদি পার<br />কার কবর গড়ো না ;<br />কবর দেখলে ;<br />তোমার হৃদপিণ্ড থেকে উপড়ে<br />দুটো লাল গোলাপ রেখ তার ওপর !</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130310102808/ভ্রূণ2013-03-10T10:29:06-04:002023-06-24T18:28:13-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>ভ্রূণ টা যে কোন গভীরে এখন নিমজ্জিত;<br />কেউ জানে না । নুনের পুটলি নিয়ে গ্রামের<br />মাতব্বরেরা বাইরে অপেক্ষা করছে ; যার মধ্যে<br />আমার বাবও আছে । প্রসবের যন্ত্রণায় ছটকাতে<br />ছটকাতে মা তবুও চেষ্টা করছে বিগত বছর<br />গুলোর মত এবার অজ্ঞান না হয়ে যেতে ।<br />আমি তখন পৃথিবীর জনন ইন্দ্রিয়ের দ্বারে ;<br />জীবনের আলো নেব বলে ছটফট<br />করছি ! আমার এই জন্মের বাসনা প্রচণ্ড<br />যন্ত্রণা দিচ্ছে আমার মাকে । শেষ মেষ আমি<br />অন্ধকার থেকে বাইরে বেড়িয়ে এলাম আমার<br />মায়ের মুখে এখনো স্বস্তি নেই কেন ! দাইমার<br />মুখে এবার হাসি ফুটেছে । আমি গর্ব করে ভাবছি ;<br />সার্থক হয়েছে আমার মায়ের জন্ম আমায় জন্ম<br />দিয়ে । আমার সাত সাতটা দিদি নুনের রূপকথার<br />পুটলিতে জারিত হবার পরে আমি জন্ম নিতে<br />চলেছি অষ্টম গর্ভে শ্রী কৃষ্ণের মত । মা এবার<br />সঞ্জাহীন নয় দাইমাকে বলল -"নিমক ছিটা দো । "<br />দাইমা এক গাল হেসে আমার মায়ের ফুলের সাথে<br />আমার নাভির যোগাযোগ ছিন্ন করতে করতে বলল;<br />-'' বেটিয়া তেরা লেড়কা হুয়া হ্যাঁয় ।"<br />আমাকে আমার মায়ের পাসে দিয়ে সুসংবাদের<br />অপেক্ষায় থাকা পুরুষদের মিষ্টি বিলবার সন্দেশ<br />দিতে গেল দাইমা । আমি তখন বিছানায় হাত পা ছুড়ে<br />খেলা করছি পৃথিবীর নতুন আলোয় এসে ।<br />কিন্তু আমার মায়ের মুখে কোন আনন্দনেই । চোখ গুলো<br />কেমন হিংস্র হয়ে উঠেছে । বিছানা থেকে রক্ত স্নাত শরীরে<br />কোনক্রমে উঠে দাড়িয়ে আমাকে একটা কুকুরের বাচ্চার<br />মত ঘেটি ধরে তুলল নির্দয় নিষ্ঠুর রুদ্ধ মূর্তি কালীর মত ।<br />তার পর বিছানার নিচে থেকে বহু যত্নে লুকিয়ে রাখা<br />নুনের গামলাটা বার করে তার মধ্যে চেপে ধরল<br />আমাকে । তার চোখ থেকে দু ফোটা জল শুধু গড়িয়ে<br />পড়লো ।</p>
<br /><p>তবে মানবী সে নয় আঘাতে আঘাতে ঘোরতর<br />পাষাণী যেমন টাই হওয়া উচিত ছিল । আমিই<br />প্রথম পুরুষ মায়ের কাছে যে করুণার প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে<br />আর্তনাদ করে উঠলাম । আমার মা এতো দিনে করুণা<br />চেয়ে চেয়ে ঘৃণা করতে শিখেছে ।<br />আমাকে সে ঘেন্না করছে আমিতো তাদেরি প্রতিনিধি<br />যারা তাকে শুধুই একটা মানুষ উৎপাদনের যন্ত্র বলে মনে<br />করে ।<br />- জিয়ে গা তো ফির সাতায়ে গা ।</p>
<br /><p>পুরুষের দল ছুটেএল আমার কান্না শুনে ;<br />যার মধ্যে আমার বাব, ঠাকুরদা জ্ঞাতি গুষ্টি আছে ।<br />দাই মাও এসেছে পেছনে শাঁখ হাতে । ছোট কাকুর<br />হাতের মিষ্টির হাঁড়িটা তিতকুটে হয়ে গেল । অনেক মেয়ে<br />মরতে দেখেছে সবাই ; প্রথম এ দেশ দেখল পুরুষের ভ্রূণ<br />নিকেশ হতে । একটা শঙ্খ ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি আমি শঙ্খ<br />ধনিটা ছড়িয়ে পড়ছে যুগ যুগ ধরে স্থবির পৃথিবীর বুকে । মা<br />আমি পুরুষ না হয়ে মানুষ হলাম না কেন ?</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/poem20130309023405/চড়াই2013-03-09T02:40:36-05:002023-06-24T18:28:13-04:00অলভ্য ঘোষhttps://www.bangla-kobita.com/allabhyaghosh/<p>অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা ।<br />সভ্যতার কথালাপে দূরে সরে গেছে ক্ষীণ প্রাণ<br />চড়াই পাখি । অনেক দিন পরে তাকে আবার আবিষ্কার<br />করলাম উল্টো ডাঙ্গায় বাজারের কোনায় ; অসভ্যের মতো<br />নোংরা ডাসবিনে মানুষের উখলানো বমি ক্ষেতে ।</p>
<br /><p>চড়াই ; ওটা কী অমৃত । তুমি আর কেন আস না আমার<br />জানালার ঘুল ঘুলিতে ?</p>
<br /><p>চড়াই যেন হেঁয়ালি করে বলল ; জানালা গুলো বন্ধ হয়ে<br />গেছে । ঘুল ঘুলি দিয়েও আলো ঢুকছে না তোমার ঘরে ।<br />স্যাটেলাইট আর টিউ লাইটের আলোয় তুমি যে অমৃত কথা<br />পড় ; আসলে তা শুধুই পর্নোগ্রাফি । সভ্যতার অসভ্যতা মি<br />পান করে তুমি কী হতে চাও ? নীল কণ্ঠ্য নাকি বিষবৃক্ষ ।</p>
<br /><p>মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে থাকা ; আমি এক<br />কলঙ্কিত নায়ক । চড়াই উপাখ্যানে ।</p>
<br /><p>আমার কাতর মিনতি চড়াই আমাদের বন্ধুত্বকে ভুলে যেয়ো না ।<br />আবার তুমি বাসা বাঁধ অমার ঘুল ঘুলিতে ।</p>
<br /><p>চড়াই বলল; জানালার সার্শী গুলো খুলে দাও ।<br />আসতে দাও প্রকৃতির অকৃত্রিম আলো বাতাস ।<br />যা তোমার মূলাধারে আঘাত করে সুষুন্নাকান্ড জাগ্রত করবে ।<br />কারখানার চিমনির মতো তোমাকে আষ্ঠে পিষ্টে বেঁধে ; মহাশূন্যে<br />ঝুলিয়ে রেখে ; ধূম্র পায়ীর মতো দূষণ উদগিরন করিয়ে চলেছে<br />যে তার । তা ছিঁড়ে ফেল । বীণা-র তারে জীবন বাঁধো । তবেই তো<br />ছন্দ পাবে । না হলে শুধুই লাস পচা দুর্গন্ধ । হৃদয় মেলে<br />ভালোবাসো দেখবে সমস্ত পৃথিবী ঠোঁটে করে কাঠি সাজাতে<br />শুরু করেছে তোমার মনের ঘুল ঘুললিতে ।</p>
<br /><p>----------</p>@ 2024 - অলভ্য ঘোষ