(গুলশানের খুনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে)
চোদ্দশ বছর ধরে রক্ত স্রোতে কাঁপছে মুসলিম।
আল্লার ইবাদত;নামাজ,জাকাতের ফরজ যারা
পালন করে;সন্ত্রাস ছড়ায় না।
মানুষের খুনে বেহেস্তের দরজা যায়না খুলে।
ইসলামে কোনও ফতোয়া হয় না নেই কোনও
শারিয়া আইন।
শোন মূর্খ সন্ত্রাসী কে দিলো তোকে অধিকার
ইসলামের নাম করতে বরবাদ। নবীর দায়িত্ব
শুধু ঘোষণার;আল্লার দায়িত্ব দুনিয়াময় মানুষের
মনে নিজ সাম্রাজ্য কায়েম। ফরজ ইবাদতের নাম
জোর খাটানো হতে পারেনা। পয়গম্বর তুমি নও
তুমি খুনি।কোনও ধর্মই মানুষকে শাসন করতে শেখায় না।
উপদেশ দিতে শেখায়; ভ্রাতৃত্ব শেখায়।
ভালবাসতে শেখায়;সহিষ্ণুতা শেখায়;শেখায় সমতা।
পরওয়ারদিগারের সত্য পথে মানুষের শান্তি মঙ্গল ঘটে।
ভ্রষ্টা!বিভ্রান্তিতে রসুলের দায়িত্ব নিস তোরা!
রসুলের দায় বাণী পৌঁছিয়ে দেওয়া।কতল করা নয়।
কর্তব্য প্রচার।ব্যভিচার নয়।যার ইচ্ছে বিশ্বাস করুক;
যার ইচ্ছে নয় অমান্য করুক সত্য তবুও থাকবে অটুট।
ওযে পালন কর্তা থেকে আগত।নবীর কাজ সত্য
তুলে ধরা ;সত্য প্রত্যাখ্যাতদের সাবধান করা।বাধ্য করা
নয়।পানিতে সাঁতার জানলে মানুষ ভেসে থাকে।না হলে
জোর করে ফেলে দিলে ডুবে মারা যাবে।
আল্লার নামে নিজেদের প্রতিষ্ঠা চাস কাফের ।
মানুষ আর আল্লার মাঝে নবী কেবল একটি বাঁশের সাঁকো।
মানুষ আল্লার কাছে পৌঁছে গেলে।সাঁকোর গুরুপ্ত থাকেনা।
মানুষকে জোর করে বিশ্বাসী অনুগত করে তুলতে আলাহ
নবী-রসুলকে পাঠান নি।পাঠিয়েছেন যুক্তিসঙ্গত কথা
সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে মানুষকে সঠিক পথে আনতে।
যারা ধর্মের ব্যাপারী।যারা ধর্মের-নামে মানুষের অমঙ্গল
ডেকে আনে।তারা আর যাই হোক ধার্মিক নয়। ধর্মের
শত্রু।মানবতার শত্রু।পয়গম্বর এর উৎপত্তি পয়গাম অর্থাৎ
সুসংবাদ থেকে।নবী কখনো বলেনি;ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে।
নবী কখনো বলেনি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম প্রচার
করতে।যীশু,হজরত,বুদ্ধ,নানক;কেউয়ই রাজা হতে চাননি।