শিলাইদহে বজরায় ঘুরছেন আর ছোট গল্প-লিখছেন; ছিন্নপত্রে যার উল্লেখ আছে। জমিদারি লাটে উঠেছিল। বাবা মারা যাবার পর প্রচুর টাকার দেনা।সম্পত্তির অংকের সাথে দেনার অংক ও ভাগ হয়ে রবীন্দ্রনাথের দাঁড়াল ৪৫০০০ হাজার টাকা দেনা।সেদিনে এটা অনেক টাকা। চিঠিতে নিজের নামটাই ভুল লিখে ফেলছেন চিন্তায়। এক বন্ধু সাহায্য করেন। শান্তিনিকেতনের লনে পায়চারী করছিলেন। জনৈক এসে জানালেন।গুরুদেব আপনি নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন। নির্বিকার ভাবে রবীন্দ্রনাথ বললেন;যাক আশ্রমের জলের ব্যবস্হা টা হয়ে গেল।সেই পয়সায় হল শান্তিনিকেতনের পায়খানা বাথরুম।আমরা হলে কি করতাম নোবেল পেয়ে?..... ,,,হাট্ ফেল-করতাম! এহেন রবীন্দ্রনাথ করতেন মার্কেটিং তাও আবার বাংলা সাহিত্য করে।একটু কেমন লাগছে দাদা। বাংলা সাহিত্যে শুধু লিখে জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং পরবর্তীকালে সমরেশ বসু। বাকিদের সবার কাছে সাহিত্য চর্চা ছিল সেকেন্ডারি। অবসরযাপন।
কৃষি বিঞ্জানী রা রবীন্দ্রনাথকে তার জমিদারিতে আলু চাষের পরামর্শ-দিলো। প্রচুর উৎপাদন আর লাভ হবে।হলোটি কচু! চাষের জন্য ব্যায় করা টাকাই উঠলোনা। তবে এর থেকে রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন।মাঠের কৃষক আকাশের মেঘ দেখলেই বলেদিতে পারে এ মেঘে বৃষ্টি হবেকিনা।আর পুঁথি পড়া গবেষকেরা আজন্ম তপস্যা করলেও সঠিক উত্তর দিতে পারবেনা।ওনাকে বুঝতে হলে--মনটাকে সেভাবে আগে প্রস্তুত করে নিতে হবে।রবীন্দ্রনাথ বহুবার বলেছেন আপন খেয়ালে কবিতা লিখে যে আনন্দ পাই অন্য কিছুতে তা নেই।