বেহায়া মানবতা, শান্তিপ্রিয় খুন
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
_====_


যুক্তির কাছে হারমানা মানবতা।
যাহা তাহা করিতেছে আজ।
খুন ছচ্ছে মানুষ যথাতথা।


চারদিকে খুনের রক্তে রঞ্জিত সাদা কাফন।
বারবার প্রশ্ন করে মন।
কে পর কে আপন?



বেহায়া হয়েছে আজ মানবতার বার্তা।
খুনি তাই শান্তির বাণী আনে মুখে।
বারবার আত্মা কেপে উঠে।
পারমাণবিক অস্ত্র হাতে রাখিবার সুখে।


আমি নির্লজ্জ বেহায়া কবি।
ভিতু কাপুরুষত্ব পুষিতে দেখি মানুষের অন্তরে।
আমি গ্রেনেডের আতংকে আতংকিত নই।
আমি একাই একাকে ভালো রাখবার দলে।
নিজেকে সুখে রাখি বারবার।
কি আর চাই আমার?



আমিতো দিবালোকে আছি শান্তিতে।
কে কোথায় মরছে।
কে কোথায় মরিতেছে আমি জেনে করিবোটা কি?
বারবার সবার মুখে না হয় শুনিবো।
খবরের পাতায় না হয় পড়িয়া নিবো।
তারপর ভুলিতে ভুলিতে শান্তিরবাণী ছাড়িবো।
বাণীতে বাণীতে আমার দিন কাটিবে।
শান্তিতে রজনী কাটিবে।



আর নীরিহ মানুষ খুন হতেই।
কপালে লেখা হবে সন্ত্রাসী।
খুনী বারবার শুনিয়ে যাবে শান্তির বাণী।
আমিও শুনিয়া তাহা।
মনে শান্তি আনিবো মহা।



সিরিয়াতে না হয় শিশু মরিতেছে।
ওরাতো জংগি হবে হয়তো।
শিশুটার হাতে ছিলো হয়তো আত্মঘাতী বোমা।
আর বৃদ্ধটা মেশিনগান নিয়ে আসছিলো ছুটে।
যার হাটতে লাগে দুটো লাঠি।



লাখো মানুষ মরছে।
আর এইসব যুক্তিবাদী দের দল।
বারবার শান্তির বাণী শুনিয়ে ঘুম পারাচ্ছে সবাইকে।



আমিও সেইসব ঘুমন্ত মানুষের একজন।
যারা এখনো নিজেকে ভাবিতেছে নিরাপদ।
যারা জানেনা পাশের ঘরের আগুন আসিতে পারে।
আসিতে পারে নিজেদের ঘরে।



এই নাহয় কতো শিশু আমাদের।
ভালোইতো আছে তারা।
অশান্তিতে অনাদরে যে মরিলো সিরিয়াতে শিশুরা।
তার খবর নিয়ে কি করবো আমরা?
বোকার মতো এখানেও আছে তার ছেড়া যুক্তির পাহাড়।




যুক্তিতে বুঝি সবাই মুক্তি পেতে চায়।
রক্তে রক্তে মিশে আছে যুক্তির পাহাড়।
চোখে দেখি বারবার।
তারপর খারা করে দেই সেই যুক্তির শক্তিশালী পাহাড়।
পর্দা আটকে থাকে চোখের সামনে।



বেহায়া মানবতা হাসে।
মুখে তার লেগে থাকে সিরিয়ার শিশুদের রক্ত।
খুনির হাতে সে চালায় রাইফেল।
আর শান্তি শান্তি করে লাশঘরের লাশেদের কানে।
খুনির মুখে শুনিতে পাই সিরিয়ার চিৎকার।
মানবতা করে হাহাকার।
যুক্তির দেয়াল থেকে তার হবে না নিস্তার।
তার হবেনা মুক্তি আর।



এভাবেই খুনিরা নিজেকে আড়াল করে।
যুক্তির চারদেয়ালে আটকে মানবতা মরে।
মানবতা নতুন করে দেয় নিজের পরিচয়।
নগ্ন হয়ে মানবতা করে শান্তির অভিনয়।



কতো মানুষ খুন হয়।
আপন রক্তে লিখে আপন পরিচয়।
খুনির হাতে থাকে কলম তখন।
খুন হয়েও পায় সে খুনির পরিচয়।
মানবতার মুক্তি কিভাবে হয়?
কার হাতে আছে মুক্তির ঠিকানা।
কেনো মানুষের হয় পরাজয়?