তোমার কাছে চেয়েছিলেম ভালোবাসার এক বহতা নদী,তুমি দিলে কর্তব্যের নিষ্ঠাভরা স্থির উঁচু এক টিলা।
যেন অদূরে দাঁড়িয়ে আছে আমার প্রিয়তম।ছুঁতে পারি না তার আবেগের প্রাণমন জীবনের শুভক্ষণে।
মনের শূন্যকক্ষে ঢোকে না অমৃত পূর্ণিমার শান্ত জ্যোতি।
এ আমার রাতুল ভালোবাসা হতেই পারে না!
আমি সেই অভিমানী,বেঁচে রব স্থির অভিমানে, সঙ্গীহীন নিঃঝুম ছবির মতো।
তোমার কর্তব্যের অবশ প্রাসাদে অঘোরে ঘুমায় প্রেম,একাকী জাগো তুমি স্তব্ধ সুকঠিন চিত্তে।
মিথ্যেই হবে তোমার অভিমান।ব্যর্থ তোমার সাধনা।
এ জীবনে বৈরাগ্য আসে আমার।সেই দুঃখে কবিতারা বিমুখ হয়।
বলে যাই তোমাকে সেকথা, যে কথা জানা নেই তোমার।
ভালোবাসা এত পরিপাটি নয়।ভালোবাসা এলোমেলো,যখন তখন,যেখানে সেখানে,অমাবস্যা পূর্ণিমা রোদ জল ঝড় কুয়াশা,এক্কেবারে বাঁধনহারা শুভ্রদল মেঘের মতন অফুরন্ত প্রাণ।
এই উদাসীন মনে আর কোন পালতোলা
ঝিলমিল স্বপ্ন দেখা দেয় না।প্রেম যে বড়ই ছেলেমানুষ...অভিমানে বাজে না তার পায়ের নূপুর।
জীবনের ভুলে অন্ধকারে আছি,দুজনে দুপথে আছি মনে মনে।
এমন গ্লানি জর্জর অকরুণ পৃথিবীতে আর ফিরবো না,পারবো না বাঁচতে আমি অস্তগামী হৃদয়পুরের মুর্ছিত আঁধারে।
বড় শাস্তি মনে হয় গো!!!