বৈশাখ দিল রবির কিরণ
দুঃখ দিল শ্রাবণ,
মনের কিনারা ভাসিয়ে দিল
অশ্রু নদীর প্লাবন ।


পৃথিবীর রবি বিমূর্ত আজ
হয়তো পড়েছে মনে,
সেই সে দিনের ২২ শে শ্রাবণ
আকাশ ঝরা বানে ।


প্রতিটি পলে সঙ্গী হয়েছ
চেতনায় আছ নিত্য,
তুমি ছাড়া কোন প্রত্যুষ নেই
সুখী আমাদের চিত্ত ।


আনন্দ ঢালা ভোর হোক
বা দুঃখ রাতের ভার,
মনের গতি তোমার মতো
কেউ বোঝেনি আর ।


উন্মনা হয়ে চঞ্চল মন
যখন যেমন চায়,
ঠাকুর ঘরে হাত বাড়ালেই
প্রসাদ পাওয়া যায়।


না যদি পেতাম এমন রবি
আঁধারে ডুবতো ধরা,
আকাশের বুকে কেমনে ফুটতো
শত উজ্জ্বল তারা?


অনির্বৃত্ত অম্লান জ্যোতি
সর্বজন চিতে,
কবিতার তাপে উষ্ণ জীবন
আচ্ছন্ন গীতে।


কোন সাগরে দিলে যে পাড়ি
ভাসিয়ে সোনার তরী,
শূন্য তীরে রইলো পড়ে
কান্না সারি সারি!


মৃত্যুঞ্জয় হয়ে ঋষিকবি
ফিরে এসো আরবার,
আকাঙ্ক্ষিত যত প্রাণমন
মোহিত পুনর্বার ।


প্রদীপ জ্বলা নয়ন তোমার
মায়ালোকের আঙন,
২৫ শে বৈশাখ ফিরে দাও তারে
ফিরো না ২২ শে শ্রাবণ।