নদীর বুক চিরে যখন ভেসে যায় আমার নৌকা,ঘুম ভাঙে নদীর।লহমা দুলে ওঠে পালে পালে।
আনন্দ লয়ে স্রোতের সহযাত্রী হয়ে চলি।আলোর মঞ্চে কথোপকথন চলে আমাদের।
শোভাযাত্রার রৌদ্রে জ্যোৎস্নায় কে যেন গান গায় অনবরতই।
নদী আগলে রেখেছে আমার ক্ষমতা অক্ষমতা ভালোবাসা ভ্রান্তি ভয় শোক তাপ সূর্যোদয় সূর্যাস্ত সবকিছু।
আমার জীবন তরীর যখন মাতলামি ওঠে,পারিনা সামাল দিতে তখন লক্ষহাতে সাঁতার দিতে দিতে বাঁচায় ভরাডুবি।
নদী আমার নিভে যাওয়া নিঃশ্বাসে খুঁজে পাওয়া প্রাণবায়ু।আমি যে তার আপন আত্মজ। মাঝি আমি।
তার স্নেহে গা ডুবিয়ে ভেসে চলি এ পার থেকে ওপারে।
আলিঙ্গন দিয়ে ভুলিয়ে দেয় আমার সর্বাঙ্গের শোক...বহু কান্না!!
বলি তাকে সদা,হে মাতা!!আমাকে তোমার কল্লোল দিও,থাকতে দিও তোমার মধ্যে অবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি তাপে।
শ্রমের গৌরবে গোটা জীবনময় মেলে এক পাগলপারা আন্তরিকতা।
এই জলরাশি আমার আপন স্বদেশ,আমার স্বপ্নলোকের বিচরনস্থল..রূঢ় বাস্তবের আপন পৃথিবী।