আমার মনের উঠোনের শিশু রোদ্দুরে যে এক সুখকন্যা কল্পজাল বোনে,নাম তার দোলনা।
তার ক্ষুধাভরা মন স্তুপীকৃত ছোট ছোট আকাঙ্খার অমৃত স্বাদ পেতে চায়।
বেলা অবেলায় সু-স্বপ্নে মেতে ওঠে নির্মল নয়নদুটি।
প্রতিদিন যায় বয়ে,কাটে নিশি,মানিকের মতো জ্বলে তার ব্যাকুল আবদার জীবনের প্রতি।
যে জীবন সে যাপন করে সে যে তাকে পরিহাস করে শুধু।মত্ত হাসি হেসে বিদ্ধ করে চিত্ত।
কি এমন চাহিদা তার,নয়তো কিছুই!!
জগত মাঝে একটু চাঁদের আলো,একটু বকুল গন্ধ বিকেল,বনচ্ছায়া নিবিড় পাখির সুরধ্বনি,শুভ্র মেঘজাল,স্নিগ্ধ প্রদীপের একরত্তি ভালোবাসা!!
সুখী ধরণী গেয়ে যায় আনন্দগীত ধানখেত জুড়ে।
হলুদ সুন্দরী সর্ষে মাঠ দোলে দিনভর,ভোলায় কাজ।
আর চায় তার খড় মাটির লক্ষীগৃহের দোরগোড়ায় এক লজ্জা লালে কৃষ্ণচুড়ার বন্ধুতা।
এই রেশম চাহিদা মায়ের আদরের মতো প্রিয়।পৃথিবীর কাছে ঋণী হয়ে যাবে সে।হতাশা হবে পরিজায়ী।জোনাকি আঁধার প্রেরণার মতো থাকবে পাশে তার নিরালা নীড়ে।
এই ছড়ানো প্রান্তরের আকাশে শুধু শান্তি আর শান্তি! এ যে শুধু তারই!!
দুঃস্থ হৃদয় সুস্থ হয়ে যায় ভরদুপুরের বাতাসে।
পৃথিবীর পথে আর তো চায় না সে কাউকে!
এই রুক্ষ মৌন পারিপার্শ্বিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পাড়ি দেবে দোলনা স্বচ্ছন্দে সুনিশ্চিত,যদি মনোলোভা জীবনের কাছ থেকে পায় সাড়া দু-হাত বাড়িয়ে।