বিশ্বপ্লাবিত দুষ্ট হাওয়া
তীক্ষ্ণ গলির রোদ,
অজস্র ঝরে নিষ্ঠুর তাপ
অধৈর্যে ভরা বোধ।
হাটে বাটে যেতে গলদঘর্ম
বিরক্তি ঘরকন্না,
চিরপ্রতীক্ষা উতল শ্রাবণ
আকাশ ঝরা বন্যা।
তবু প্রান বাঁচে দাবদাহ মাঝে
সঞ্জীবনী রসে,
মধুগন্ধে অমৃত আম
জৈষ্ঠের বেলা হাসে।
ম্রিয়মান মন গ্রীষ্মদহন
জুড়িয়ে যাবে পীড়া,
পল্লব আড়ে একঝাঁক আম
সুসজ্জিত সাড়া।
অতীব সুরভি ধ্রুব সুস্বাদু
ভরেছে ডালে ডালে,
সজীব মাধুর্য অলখ মায়া
সোহাগী হাওয়ায় দোলে ।
গগনে পবনে উষ্ণতাকোণে
প্রেমের বালিয়াড়ি,
স্বস্তির মন ধরনীর তীরে
আশার অধিকারী।
দু দন্ডের অতিথি বনে
সুললিত শত নাম,
ভরা গ্রীষ্ম টুপটাপ ঝরে
গাছপাকা মিঠে আম ।
ঝড়ের বেলায় আম কুড়োনো
বাতাসে সদলবলে,
দুগ্গা অপু খোঁজে বুঝি আজও
উপহার ভূমিতলে।
জামাই আদরে বিশুদ্ধ ফল
প্রফুল্ল প্রৌঢ় প্রথা,
নব আবাহন স্বাদে ভরপুর
সংস্কৃতির সুধা।
প্রবাদ বচনে আছে খেদ খুব
আক্ষেপ ভুরি ভুরি,
আমে দুধে জানি চির মিলমিশ
আঁটির গড়াগড়ি ।
হোক হৈ চৈ প্রবাহী প্রবাদে
দুধের শিশুও জানে,
আহ্লাদী এক নবীন প্রাণ
লুকোনো আঁটির মনে।
প্রবোধিত হবে বিপুল তেজে
পূর্ন আশার ঝুলি,
আলোয় মাজা সবুজ শাখে
গান ধরে বুলবুলি।