ঘুম ভেঙে শিশু ফুঁপিয়ে ওঠে
উদাসীন চোখে চায়,
খুঁজে ফেরে সেই আঁচলখানি
নরম মমতায়।
জড়িয়ে ধরে আধফোটা স্বরে
শরৎ শান্ত সুখ,
সুকুমার আঁখি চকিতে জ্বলে
দেখেছে মায়ের মুখ।
সোনার আভা শুধু নীলাকাশ
মা মানে অনাতপ,
দুঃখ ভেজা অসাড় হিমে
অপসারিত ক্ষোভ।
অন্যুন শ্বেত জ্যোৎস্না শীতল
হরিতাভ এক বন,
নিয়ত ঝরা নিশাজল ভুঁয়ে
আর্দ্রতা ছোঁয়া মন।
পরম শান্তি নিজ অন্তরে
উচ্চারিত স্বরে,
মা ডাকে মায়া,সুবাসিত দিক
অভিলাষী আদরে।
স্নেহ গন্ধ,কুন্তল আকুল
আটপৌরে বাস,
ললাটে জ্বলে রাঙা কুমকুম
স্বরূপ বারোমাস।
মধু হরষে বিকিরীত প্রীতি
শাপলা সরোবরে,
পরাজিত হিয়া পূণ্য সোহাগী
অনঘ অধিকারে।
ভাবনা ঘিরে তরুছায়া এক
বক্ষে সুরেলা গীতি,
তুচ্ছ করে সকল অভাব
মায়ের উপস্থিতি।
ক্ষমাময়ী প্রাণ দিবারাত্রি
মঙ্গল ধ্বনি শঙ্খ,
অকুন্ঠ মায়া ধুয়ে মুছে নেয়
সন্তান দেহে পঙ্ক।
প্রিয়তম সুধা সত্ত্ব গভীরে
প্রেরণা নিশিদিন,
জন্ম জন্ম বাধিত স্নেহে
অপরিশোধিত ঋণ।