জ্যোৎস্না ধোয়া মৃদুল উঠোন উচ্ছ্বসিত রাত
মেঘের সরিৎ ঘুমের বাতাস ধ্রুবতারার সাথ।
চোখ মেললেই অমল বিহান ফুলন্ত গাছ নত
প্রকৃতির ছোঁয়া জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার মত।
অনায়াস বেলা পাখপাখালি প্রিয়তম সাতনরী,
কবিতা আমার দিবারাতি তার ভাসিয়ে বেড়ায় তরী।
একটু দূরেই ছায়া ছায়া তীর সরু নদী যায় বয়ে
বসন্ত সখা প্রণয়ের কথা জানাচ্ছে রয়ে রয়ে।
জলপিপি জমে সায়র পাড়ে নিরেট আনন্দ
মাধুর্য্যে ঠাসা মধুমাখা নীড়ে সহাস্য ছন্দ।


অতর্কিতে জীবনের ঢেউ ঝংকার তুলে বলে
প্রান্তর ছেড়ে যেতে হবে মন দুঃসহ কোলাহলে।
পরাস্ত হিয়া,রোদ যায় ঢলে আঁধার ডাইনে বাঁয়ে
শস্যহীন মাটিহীন দেশে আতঙ্ক পায়ে পায়ে।
ছিনিয়ে নিয়েছে কে যেন শান্তি বিচ্ছেদ শেষকথা
বৈরী বাতাস,ফিকে রৌদ্র,বিস্তৃত নীরবতা।
পৃথিবীর ঘরে বিরাজ করে প্রতপ্ত আক্রোশ
মাথা কোটে প্রেম,পলাতক স্নেহ,প্রতিপালিত রোষ।
বিধ্বস্ত কপালের ভাঁজে শত প্রশ্নের ভিড়
ফোটে না বকুল দেয় না ধরা দখিনাবায়ু ধীর।
অট্রালিকার শাণিত কৃপাণে আকাশ কুচিকুচি
নিঃসঙ্গতা উদ্দাম তালে জীবনকে ঘেরে বুঝি।
সবুজহারা মানচিত্র দিগন্তহীন দেশ
ঝিমোনপ্রাণে অযাচিত তাপ ক্রূর আঁধারের রেষ।
জীবনগাথা নিয়মিত লেখা স্তিমিত উদাসী চোখে
নিয়ন আলোয় অনিদ আঁখি,নিশীথ চাঁদের শোকে।
সরলতাহীন ঝাপসা আলোক আমার তরে নয়
সান্নিধ্যের বিমুগ্ধ প্রেমে আকাশে ধ্বনিত জয়।