সুধারসে ভরা অবিরাম লীলা
বৃক্ষ পাখি মোহ,
অপরূপ খেলা মহাশূন্যে
ভাসমান নীল গ্রহ।
সুতোয় গাঁথা হাজার মানুষ
নগর নদী নারী পুরুষ
কি নেই রঙ্গমঞ্চে,
ভূমির ওপর আত্মহারা
পথ ছুটে যায় গঞ্জে।


অজাতশত্রু ধরণীর মাঠে
ঘর সংসার বোনা,
মৈত্রী মাটি অনায়াস দানে
ছড়ায় শস্যকণা।
মহীরুহ শাখা স্নেহ মাধুর্যে
আগলভাঙা বাদল গর্জে
আছে দোয়েলের সুর,
অকারণ ভিজে পীড়া নিরাময়
চনমনে রোদ্দুর।


দূরে পর্বত অহঙ্কারী
ধোপদুরস্ত শৃঙ্গ,
দিন চাপা পড়া অরণ্য চিড়ে
এঁকেবেঁকে যায় কঙ্গো।
বরন করা চাঁদের আলো
ছয় ঋতু জানে কৌতুক ভালো
মানচিত্র জুড়ে,
সুস্বাদু জলে জীবন্ত গতি
সৃষ্টির কথা ঝরে।


মাটির মন সবুজ পাগল
নাবালক ফুলে সাজ,
স্বৈরচারী মরিয়া মানুষ
আচমকা হানে বাজ।
হয়রান বুকে গরিয়সী ধরা
কুঠারের হাতে তরু পিছমোড়া
খরা বানভাসি ফল,
কদ্দুর গেছে অশুভ চেতনা
পৃথিবীর চোখে জল।


মাখামাখি মাঠ ইট পাথরে
শ্বাসকষ্টে গোলাপ,
গন্ধরাজের গল্পগুজব
ছড়ালো মনস্তাপ।
গাঢ় সবুজের সোহাগে খাঁটি
মেঘ দূরে যায় হাহাকার মাটি
দু-পশলা বৃষ্টি কই?
তোমার কপালে অমোঘ অভিশাপ
প্রলয়ের হৈ চৈ।


ইচ্ছে করে শপথ করি
সূর্যের তাপ ছুঁয়ে,
ঈশিতা আমার স্তুপাকার আছে
হরিৎ আগলাব ভুঁয়ে।
শোন আহ্বান গৃহস্থ যত
লড়াই করি সাধ্যমত
দুয়ার খোলে হাওয়া,
সমর্পণে নিরবধি কাল
এক পৃথিবী চাওয়া।