অফুরন্ত সবুজ পাতাস্তবকে রাঙা কৃষ্ণচূড়ার সুবর্ণ ভিড় দেখি!
পলক পড়ে না গো বসুন্ধরা আমার!
এই তীব্র প্রভাত,দিনের আকাশ,কুসুমবন,উড়ে যাওয়া পাখি,ঘন আঁধার,পাহাড়,অরণ্য,মেঘ চেরা বিদ্যুৎ,সন্ধ্যা নদীর হাওয়া ফুরোয় না কিছুই প্রেম আস্বাদে।
দেখতে চাই এদের স্বপ্নের মধ্যে স্মৃতির ভিতরে তুমুল বাস্তবে প্রমায়ু।
আমি শুকতারা,কন্যা আমি সজ্জিত নিখিলের।
আমার সাথে বিস্তীর্ণ সৃষ্টির শ্যামল সম্পর্ক।
উল্লাস রৌদ্র খেলার সাথী আমার,বিলাপ চলে হাওয়ার সাথে নিমগ্ন হয়ে।
কুর্চি ফুলের সাথে উদযাপন করি উষ্ণ গ্রীষ্ম।
শুভাকাঙ্ক্ষী বৃষ্টিরা প্রস্তুত মিলেমিশে বেদনা ধুয়ে সার্থক সূর্যকিরণে ছড়িয়ে দিতে মিষ্টি হাসির কনককণা
স্নেহ মমতার মিহিজালে আবদ্ধ আমি আষ্টেপৃষ্ঠে।
নেই আলোর আকাল,আছে মর্মস্পর্শী আলিঙ্গন রৌদ্র।
দু-হাত বাড়ালেই পাই নবদূর্বাদলের প্রতিজ্ঞা সবুজ ভালোবাসা!
যাবজ্জীবন এমন সুখের ভিতরে ঘর বেঁধেছি পৃথিবীর মাটি দিয়ে।তার সান্ত্বনাতেই বাঁচি।
আমার বাতাসভরা খিড়কি টি খুললে ভেসে ওঠে সপ্তর্ষিমন্ডলে জড়ানো একফালি আকাশ।
উদ্বেল করে নিরেট চাঁদের যাদুছোঁয়া,বুঝি হৃদয় রাঙাতে আসে স্তব্ধ মধ্যরাতে।
ঘাসের শিষে পতঙ্গের স্বচ্ছন্দ ফিরে ফিরে আসা যাওয়া মায়া বিজড়িত।
রোদ বৃষ্টি মেঘ পাখি আর ফুলের নাগর দোলায় ঘুরে ঘুরে ভাবনা ভুলে যাই।
জীবনে আর কি আছে এই এক পৃথিবী ব্যাতীত!
মিথ্যে মনোহারী প্যাঁচালো প্রগতির মোহিনী আলো সয় না আমার।
প্রাণের ভিত স্থাপন করা আছে উর্ধে নীল অবিরাম ছড়ানো তেপান্তরে।
এই শুকতারা উথলে ওঠে থোপা থোপা ছাতিম ফুলের আশ্বাসে,অরণ্য মর্মরে শিশুকাল হতে।
লিখে রাখলাম অন্তর তলে জীবজগতের প্রতি আস্থা ভালোবাসা স্বস্তির কথা গোটা গোটা অক্ষরে।