কে দিল দীপ্তি আকাশনীলে
হাওয়ার ঝরে ঢেউ,
শ্যামলে গাঁথা সবুজ বাসর
কবিতা লেখে কেউ।
অভাব মেটায় বিশ্বপ্রকৃতি
ঘুম ভাঙে সভ্যতা,
সহস্র বছর না জানা তার
দিন রাত্রির কথা।
রহস্য হ্রদে ভেসে যায় ডিঙি
বাড়ল আয়ু জীবে,
সবুজে সবুজে কথোপকথন
কল্যাণ কলরবে।
বোঝাপড়া শেষ বিস্ময়কূলে
প্রানপন কৌশল,
আগামী কালের এপারে ওপারে
নিবিড় কোলাহল।
প্রসাধনে রূপ কান্তিময়ী
সহজ বৃষ্টি এল,
সবুজে ছোঁয়া তৃপ্তির স্রোতে
আলপনা এঁকেছিল।
আলগোছে মাটি শুধু গেয়ে যায়
উর্ধ্ব আকাশপানে,
আসল সত্য নির্মল জল
প্লাবিত শিকড় টানে।
তৃণপ্রান্তর পুষ্প গুল্ম
মহীরুহে বিশ্বাস,
হরিৎ সাগরে ছড়ানো মানিক
সুলভ বারোমাস।
নিঃসর্তে বিলীন নিজেকে
অবিরাম স্নেহকনা,
হে শুভ মানুষ একটু আবেগ
চাইছে বৃক্ষসেনা।
প্রাজ্ঞ প্রবীণ মৌন বৃক্ষ
পন্যে ভরা তরী,
চেয়ে দেখো তার অসীম সবুজে
বৈভব ছড়াছড়ি।
পাখিদের গীত রহস্য ছায়া
সুগন্ধি অরন্যতরু,
নদী সমুদ্র শৃঙ্খলা ঢেউ
সুবিস্তৃত মরু।
এ সবই প্রকৃতি শান্ত ধীর
জীবন দহন জুড়োয়,
মাতার মতো গাঢ় মমতা
আস্বাদে না ফুরোয়।
চেয়েছি ভরা সবুজ রসনা
অরন্য ঘেরা দেশ,
পুস্পপ্লাবিত প্রভাতবেলা
পাখির গানের রেশ।
সাজিয়ে দেব সাধ্যমতো
বিঘের পরে বিঘে,
সনাতন রূপ দৈব সবুজে
বসুন্ধরাটিকে।