তিতল আকাশ তুমুল মেঘের ভিড়
রৌদ্র ঘুমোয়, শ্রাবণ গম্ভীর।
শ্রান্তিহীন বাদলধারা ভাসে রাজপথ,
তালসারি ছোঁয়া জটিল মেঘ নিয়েছে শপথ
দিনের বক্ষে রাত্রি আনবে ধীর
মেঘলোকে রবি, ইচ্ছে প্রকৃতির।
কৃষ্ণমেঘে ডুব দিল বুঝি ইন্দু,
রাতভর ঝরে টুপটাপ সুখবিন্দু।
নিপুণ তারা নিখোঁজ আকাশ মাঠে,
মাঝি তরী ভেড়ে করতোয়া নদীঘাটে ।
নদীর জলে নাছোড় ঢেউ ভাঙে
আগলহারা আবেগ বাদল নামে।
সৌদামিনীর বহ্নি আঁখি তীব্র নাদ
দেহাতী পথে ভালবাসা ঢালে বৃষ্টিপাত।
এমনি বর্ষা ছুঁয়েছে মাটির বুক
ধানখেত জোড়া মুষলধারা সুখ।
মনের দেউড়ি পেরিয়ে ভালবাসা
পাল তুলেছে তরুর বুকে আশা।
দীর্ঘ স্নানে পবিত্র যত শাখা
দিবসের চোখে মেঘের কাজল আঁকা।
ভিজে শালিক একাকী ফেরে ভেসে
বৃষ্টিজলে গ্রামগঞ্জের দেশে।
প্রেমিক বর্ষা বানভাসি মন আজ
শৃঙ্খলহারা ভোলে পৃথিবীর কাজ।
প্রিয় ব্যাঞ্জন আগুনের ধারে বসে
গুনগুন সুর জলতরঙ্গে মেশে।
বুক ভেসে যায় ভূ-লুন্ঠিত জল
অগাধ আশায় চাষাবাদ কোলাহল।
মায়ালগ্ন ঝরছে আশীষ হয়ে
স্বাগত জানায় নীপবন প্রত্যয়ে।