তাজা প্রাণটা গেল মারা
রক্ত হল রাস্তা ঘিরা
যুবকের আকাঙ্ক্ষা ছিল বড্ড বেশি
বাঁচতে চেয়েছিল বয়স আশি।
কিন্তু আঠারোই আসিল না জীবনে
মরিল সতেরোর শেষদিনে,
বড় দুঃখ হয় তাহার পানে চেয়ে  
ছন্ন ছাড়া হয়ে পরে আছে  রাস্তার ধারে।
আঠারোর জন্মদিন আসিবে বলে
যুবকটি মাতিয়াছিলো ব্যাকুল কোলাহলে,
বিধাতার পরিহাসের পাতায়
সতেরোই প্রাণ প্রদীপ নিভে যায়।
কত আশার নবযৌবনের রবি
উঠিবে উদ্ধশ্বাসে সব কিছুরে ছাড়ি
সমাজের মানুষিকতার অভিশাপী
তাকে করিল মৃত্যু মুখে পাড়ি।
তাহার দেহটা পেরিয়েছে আঠারোর দ্বার
তাই হয় চিল শকুনি করছে তারে উদ্ধার
এ সমাজের মত তারাও বদ্ধ পরিকর
আশাহত মনটি আঠারো দেখিত না আর।
তার পরিবার আঠারোর জন্মদিনে
করেছিল বড়  আয়োজন,
নিমন্ত্রিত হয়েছিল পাড়ার প্রতিজনে
চেয়েছিল আয়ু থাক চির জীবন।
আজ আর বুভুক্ষু শরীরের করে না কেউ খোঁজ
অথচ আঠারোর জন্য বাড়ির লোক দিন গুনিত রোজ।
শোকাহত পরিবার এভাবে একটি যৌবন কে
হারাতে হল যুবরাজ্য থেকে
এশুধু একটি পরিবারকে নয় শোকাহত
যৌবন পথে পা বাড়ান কৈশোরকে করে আহত
আকাঙ্ক্ষার জাহাজ না চড়িয়া
সতেরো পার হইয়া।