চেষ্টা করেও আমি কাব্যকে ছাড়তে পারি না।
জীবনের পরতে পরতে সে এমন করে লেপ্টে আছে,
তাকে ছাড়তে গেলে জীবনটাই বোঝা ঠেকে।
কাব্যের সাথে আমার পরিচয়ের দ্যুতিয়াল কে ছিল মনে নেই।
বৈশাখের খরতাপে জীবন যখন অতিষ্ঠপ্রায়,
হিমেল পরশ নিয়ে আচমকা কাব্য এসে হাজির।
জ্যৈষ্ঠে পাকা আমের মধুর রসে,
আষাঢ়ে কদম ফুলের ভেজা হাসিতে,
শ্রাবণে মেঘমেদুর আকাশের গুরুগুরু গর্জনে,
ভাদ্রে শিশিরসিক্ত দূর্বা ঘাসের 'পর রোদ চিকচিকে আলোয়,
আশ্বিনে শুভ্র কাশফুলের বনে ঢেউয়ের দোলায়,
কার্তিকে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে,
অঘ্রানে নবান্ন উৎসবের ধুমে,
পৌষে পিঠা-পুলি-পায়েস রান্নার আঁচে,
মাঘে কনকনে শীতে জড়সড় গ্রাম্য বালিকার দীর্ঘশ্বাসে,
ফাল্গুনে শাল-পিয়ালের বনে কোকিলের কুউ-কুউ ডাকে,
চৈত্রে নিদাঘ দুপুরে এক পশলা বৃষ্টির ফোঁটায়
কাব্য যখন তখন হাজির হয়ে আমার জীবনকে রাঙ্গিয়ে তুলতো।
তারপর বলা নেই কওয়া নেই
হঠাৎ করেই কাব্যের নিরুদ্দেশ যাত্রায় চলে যাওয়া।
কাব্যের সাথে সেই সব সোনাঝরা দিন আর মায়াবী রাত্রির
শেষমেশ ঠাঁই হয় অজর কবিতায়।
১৯শে এপ্রিল ২০২৪। ঢাকা।