যতদূর সীমানায়,ঐ দূর দেশ থেকে ভাবি আমি
মাগো তুমি কেমন আছ কোথায় আছ তুমি;
জানি তোমার দুচোখের জলে নদী বয়ে যায়
একা একা নিশি দিন বসে বসে ভাবি ঐ দূরদেশ সীমানায়।
আকাশ পাতাল বায়ুমন্ডল আর নভোমন্ডল পেরিয়ে
এসেছি মাগো তোমাকে কষ্টের সাগরে ফেলে;
তেত্রিশটি বছরের অপেক্ষা তোমার আসবে ছেলে ঘরে ফিরে
মায়ের সুমধুর আচঁলে শুধু ঘুরে ফিরে ব্যথারা ঝড়ে।
একলা চলা পথটি তোমার সেই শৈশবকালে
যখন বাবা চলে গেল আমাদের একা ফেলে,
কত যত্নে গড়েছ আমায় দিয়েছ ভালবাসা উজার করে
এসব দিনের কথা মনে হলে কষ্টেরা শুধু উকিঁ মারে।
বাবা আমার সেই যে কবে চলে গেল
দিলোনা তোমার চোখের জলের দাম
জানি সে ভোগ করবে এর পরিনাম।
তিল তিল করে গড়েছ আমায় দিয়েছ প্রকৃতির দীক্ষা
ভরেছ জীবন গড়েছ এই মন দিয়েছ আরও সুশিক্ষা।
আজ আমি দূরদেশে এসে স্মরণ করি তোমায় মা
এ জতে তোমার মত আর কেউ হতে পারেনা উপমা।
ধনে নয় সম্পদে নয় গুনে মানে তুমি সেরা
ভাবতে পারিনা কিছুই মাগো এই তোমাকে ছাড়া।
এই নগরে এই শহরে কত চেনা অচেনা জন
মায়ের মত কেউ তো নয় এ মায়াময় আপন।
জতৎ জুড়ে একটি মা আমার ভাললবাসি তোমায় যত
তোমায় বীনা হৃদয়ের তরে ব্যথা ঝড়ে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত।
যত দূরেই থাকি দোয়া দিও মোরে মাগো তোমায় যেন না ভূলি
বারবার মনে পড়ে সেই শৈশবের দিনগুলি।।
এই নগরে যত্ন করে প্রতিদিনকায় তোমার নামে চিঠি লিখি
মনের মাঝে আমার সেরা মায়ের নিরন্তর ছবি আকিঁ।
এই তো আর কটা দিন তোমার ছেলে
পি.এইচ.ডি শেষ করে আসবে ফিরে ঘরে
পৃথিবীর সব প্রান্ত ঘুরে ফিরে সব শেষে ঠাঁই চাই মা তোমার কোলে।