মধ‌্য দুপুরে তেজোদীপ্ত সূর্যের যে উপ্তাপ    
শেষ বিকেলে তা কিছুটা ম্রিয়মান বা মলিন
ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয়ে তেমনি
আবেগ আজ তেমন কাজ  করেনা।
একদিন তোমার মলিনমাখা মুখ দেখলে
যে প্রাণ দিশেহারা হতো
আজ উচ্চস্বরে তোমার কেঁদো মন
কোন সাড়া ফেলেনা আমার হৃদয়ে।


কত বিনিদ্র রজনী কেটেছে আমার
কত আখিঁজলে ভেসেছে এই মন প্রাণ;
আকাশের কালো মেঘের মত
অন্তরে পড়েছিল বেদনার আস্তরন,
সেদিন তুমি তো ফিরেও  দেখনি।


নিরন্তর ছুটে চলা জীবন
বাস্বতার মুখোমুখী দাড়িঁয়ে হয়ে গেছি নিরাবেগী,
কোন মোহনীয় নারীর কান্না আজ হৃদয়ের ধারেকাছে যায়না
কষ্টে কষ্টে এ হৃদয়ে হিমারয় সমান পাথরে ভরা
এখানে আর ফুটবেনা বাসন্তী রাতের কোন গোলাপ;
শুধু ভালবাসার এক অপূর্ব ঝর্ণাধারায় শোভিত হিমশৈল
ধামাচাপা পড়ে আছে এ হৃদয় শতাব্দীর লোকালয়ে।
তাই আজ কোন কান্না মনে সাড়া ফেলেনা
কোন বেদনার ছাপ জীবনে আলোড়িত করেনা
কোন গোলাপের সংস্পর্শ আমায় মোহিত করেনা
আজ আমি আবেগহীন এক যন্ত্রমানব শুধু।