১.


যমদূত এসছিল আমার চৌকাঠায়
স্মিত হেসে বলেছিল
প্রিয়তমা তোমায় ডাকছে
বলেছিলাম, স্বর্গের না নরকের?
জীবনের আরেকটু সুধা পানের
সুযোগ দিয়ে
যমদূত সেদিন প্রস্থান করেছিল।


২.


জীবনকে তন্ন তন্ন করে খুজেঁ
কোথাও পাইনি
এমনকি সাগর তীরের ক্ষুদ্র বালুকণায়।
কিন্ত পান পাত্রে
আমি শরাব দেখেছিলাম
জীবনকেও অনুভব করেছিলাম ।


৩.


নরকের লেলিহান শিখায়
নির্লিপ্ত! প্রজ্বলিত নারীকে
জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি ভাবে পারো
উত্তর দিয়েছিল
তোমার লালসায়, আমার অগ্নিবাস।


৪.


প্রিয়তমার ঠোঁটের লাল প্রলেপ
কয়েক স্তরের হচ্ছিল
বলেছিলাম, এতটা স্তরে স্তরে গভীর রঙ?
প্রিয়তমার উত্তর
তোমার চুম্বনে, লাল প্রলেপের
একটা স্তর উঠে গেলে
আরেকটি চুম্বনের অপেক্ষায় থাকতাম


৫.


স্বর্গে আমার মন খারাপে
একদা স্বর্গের  রক্ষক
প্রশ্ন করেছিল, কি চাও হে বৎস?
বলেছিলাম স্বর্গের সাথে
নরকের দরজাটাও যদি থাকত!
বিস্মিত স্বর্গের রক্ষক বলেছিল, কেন ?
বলেছিলাম ,আমার যে সুখ বেশী দিন সয় না।


৬.


স্বর্গের অনন্ত ঋতুতে
কালচে লাল গোলাপ খুঁজছিলাম
ঈশ্বর জানতে পেরে বলেছিল
ওটা তো শুধু তোমার জন্মভূমিতেই
কেবল প্রস্ফুটিত হয়।


৭.


একবার বাদশাহ নামদার
আমার কুড়েঁ ঘরে এসেছিল
কুড়েঁ ঘরের জ্যোৎস্নাটাই নাকি
তাঁর অধিক প্রিয়
এখন আমি জ্যোৎস্না দেখি
প্রিয়তমার কবরের পাশ থেকেই