মাঝি তোমার বায়ু নৌকায় নিবা আমায়
মেঘের আড়ালের মেঘে হারাতে মন চায়
পাল উড়িয়ে দিও তুমি বায়ুর ইশারায়
শাড়ীর আচঁল উড়বে আমার নীল আকাশে
শুভ্র সাদা মেঘেদের মিলন পাখায়


যদি বিদ্যুৎ চমকায় মাঝি, মেঘ ছেয়ে
যায় কালো নিহারীকার গভীর ছায়ায়
উঠিয়ে নিও তোমার নাও নক্ষত্রের মেলায়
শান্তু হলে ঝড়ের আনাগোনা, আমরা দু’জনে
দুলবো দেখো চন্দ্রের দোলনায়
আমাদের রইবে না কোনো সীমানার রেখা
আসমানের আকাঙ্খায় নিতে পারবো দিন রাত্রির
লিজ, তুমি চাইলেই দিনেই কাটাবো ঊনকোটি প্রহর,
রাত্রির মাঝেও কাটিয়ে দিতে পারবো অনন্ত বছর।


তোমার বায়ু নাও এ পাড়ি দিয়ে খুঁজবো ঈশ্বর
স্বর্গের বাগানে ফিরিয়ে দিব গন্ধমের শিকড়
প্রার্থনায় মোরা একসাথে চাইবো কৃপা
হে ঈশ্বর ফিরিয়ে নাও তোমার অভিশাপের মালা
অযুত কোটি প্রসব বেদনায় আর নাহি চাই
ফুটাতে গর্ভের ফুল, তোমার সৃষ্টিকে তুমি বানাও
আমারে আর মাঝিরে ফিরায়ে নাও এক’বিন্দুতে
সত্তার আলিঙ্গনে যদি সত্তার জনম হয়
মিছে কেন আমাকে কলংকের বোঝা দাও?


মাঝি যদি মহাশূন্যও না পাই ঈশ্বরের দেখা
আমাকে নামিয়ে দিও মেঘনার স্রোতধারায়
দেহ খানা করিয়ো বপন মাটির ঘরে
তুমি মাঝি নাও বাইও স্রোতের ধারায়
আমি রব মহাশূন্য কোটি কোটি তারায়
তোমারে নিয়ে একদিন গন্ধম গাছের নীচে
দু’টি প্রাণ দেখো এক বিন্দুতেই মিলাবো, এক’ই হবো
ঈশ্বর সেদিন কি ভাবে করিবে সৃষ্টির বিচার
শূন্য আর এক’র যোগফলে এক’র ই জয়
যাহা কিছু জন্মেছিল এ ধরায়, একে’ই হয়েছিল জয়-পরাজয়।


কবিতার পটভূমি: স্রষ্টার সৃষ্টির ধারাবাহিকাতায় নারীই বাহক। সেই নারীই আবার অভিশাপের বাহক। সৃষ্টিকর্তা যদি সব একবিন্দুতেই ফিরিয়ে নেন, নারী-পরুষ এক বিন্দুই হবে।