জানি, তোমার কাছে আকাশটাই বড় ছিল
অসম্ভব সংসারের চাপে, বেলকনিতে কাপড় নিংড়ানো
কিংবা বিকালে একটু অবসরে, চায়ের কাপ
রান্না ঘরের জানলা গলে, শাওয়ারে ? বাথরুমের
ছোট্ট জানালা ভেদে, আকাশ
ঠিক অতটুকুই অবসরে, জানি
তোমার কাছে আকাশটাই  প্রিয় ছিল।


ছিলে বড় মেয়েই, গোলাপ দেখানো লোভে, প্রেম;
পুরুষটা? তোমারে মাঝেই নাকি আকাশ দেখতো
এক শাড়ীতেই, এপিট ওপিট শুকিয়ে, প্রথম সন্তানটা
এসেছিল ছেঁড়া শাড়ীর কোলেই, সাংসারে টানে
দোকানের বাকীর খাতার হিসাবটা, তোমারই
এত কিছুর মাঝেও, রতিক্রিয়ায় ?
ঘ্রাণ পাচ্ছিলে কি? শুকিয়ে যাওয়া গোলাপটায়
তখনও কি আকাশটা , পুরুষের বুকেই খুঁজছিলে?


অফিসে বসের রুমে, চোখটা তার নাকি
আকাশ দেখে, তোমারই বুকের মাঝেই
চলছিল এমনি করেই
দস্তখতের কাবিনে, সতীত্ব তোমার
পুরূষটা ভাবছিল, শাড়ীরে গন্ধে পারফিউমের
মাদকতা, নাকি কলঙ্কের কালো ছাপ
আবার কখন যেন সপে দিয়ে সবকিছু
তোমার হল গৃহবাস
আরেকটি গোলাপের ঘ্রাণে, পুরুষটা
তিন ইঞ্চি নদীর খেয়ায়।


এখন তুমি, হুইল চেয়ারে
আবার ফিরে ফিরে, বেলকনি,রান্নাঘর
গ্রিল জানালায়, আটকে থাকা স্বচ্ছ কাচেঁ
জানি, তোমার কাছে আকাশটাই বড়।
বড়ই প্রিয়, আকাশটাই তো তোমাকেই ধারন করে।
কারণ ? তোমার আকশটার ভার, তোমার, শুধু তোমারই।