(১)
বাতিল মুদ্রার মতো কিছু ফেলে আসা আলো পুরোনো কৌটোয়,
ঝাঁকালে এখনও বাজে তামাদি হয় না ঋণ হিসেব তো নেবেই।
মন খারাপের রাতে মাঝে-সাঝে ফিরে গেলে, লুকোনো নৌকোয়,
ফেলে আসা কোনো বাঁকে ভীতু জোনাকির মতো জ্বলে আর নেভে।
                         (২)
স্মৃতি পোষা বেড়ালের মতো, পায়ে পায়ে ঘোরে শুধু যায় না তাড়ালে।
বিরহবিষাদ পোষে মন আহ্লাদে, এই তার অবসরে  প্রিয় বিনোদন।
বিঁধুক আঁধারতির এটাই চেয়েছো, তাই নিয়ে শেষমেষ বাজারে দাঁড়ালে।
মূলধন এটুকুই যতনে সাজিয়ে, আলোয় বিষাদ বেচো, ফেরি করো মন।
                          (৩)
ভার কমে গেলে আর কথায় ভেজে না,
তাকে নয় বিরাম দাও, নীরবতা বাঁধো।
থিতু জলে সহজেই গভীরকে চেনা,
ধুলোঝড় থেমে গেলে ফিরে পায় ছাঁদও।
                         (৪)
এ আলো নিজস্ব নয়, আসলে সে আলোকিত বল,
একথা নিজেও জানে, তাই নয় দৃপ্ত অহং তেজে।
সে শুধু বিলোতে জানে, সে গুণেই মায়াবী কোমল,
প্রশংসা ঋদ্ধ তাই রূপোলী থালায় ওঠে সেজে।
                         (৫)
সে কথা হয় নি বলা আজও উদঘোষে,
তুমিও ভাসো নি কোনও তুমুল উচ্ছ্বাসে।
আমাদের রাত্রিদিন বাজারে হেঁসেলে,
তবুও আমরা আছি পলাশের মাসে।
                         (৬)
হেমন্ত কবেই গেছে, শীত ছুঁয়ে ঝরাপাতা মাস,
হাওয়া বদলের দিন মেপে গেছে জ্বরের সময়।
তুমিই বোঝো না কিছু, দুই হাতে ওড়ালে পলাশ,
রঙ তো সবাই মাখে, সকলেই রঙিন তো নয়।
                          (৭)
মানুষ বিষাদপ্রিয়, স্মৃতি তাকে সহায়তা করে।
অবসর হিংসুটে, জিরোতে দেয় না তাকে মোটে।
অবিরাম খোঁড়াখুঁড়ি, দিগন্ত ঢাকে ধুলোঝড়ে।
যে বাঁকে আলোক ছিল ঢেকে যায় আঁধারের স্রোতে।