এই যে মশাই
কি ভেবেছেন,
আচ্ছা তো বেশ
খেল ফেঁদেছেন।
ইচ্ছে মতন
যখন তখন
কাউকে তোলেন,
কাউকে নামান
পায়ের তলায়।
কাউকে বাঁচান
স্বপ্ন দিয়ে,
নয়তো আবার
কারুর গলায়
হঠাৎ মরণ-
ফাঁসই লাগান।
কি ভেবেছেন,
আচ্ছা তো বেশ
খেল ফেঁদেছেন।


এই তো দিলেন
রৌদ্রমাখা
ঝলমলে দিন
স্বর্ণঝরা।
পত্র নবীন
ফুলকুসুমে
ভুবন ভরা
রঙিন মাসুম।
হঠাৎ ই ফের
খেয়াল মতো
ঝরিয়ে দিলেন
ফুল ও পাতায়।
ছিল যতো
রঙবেরঙের
হট্টমেলা,
মুছিয়ে দিলেন
পাণ্ডুরতা।
বেশ তো খেলা।


সকল দিকে
রিক্ত হয়ে
ক্লান্তি ব্যথায়
ক্ষয়ে ক্ষয়েও
ভাবছে যে জন
আসছে কোনো
মরশুমে ফের
রঙিন হবেই,
হানবে ছটা
জগতজুড়ে।
হঠাৎ আবার
সেই আশারে
পায়ের তলায়
কচলে মেরে
নিভিয়ে দিলেন
জ্বলতে যে দীপ
মিটমিটিয়ে
মুমূর্ষুর দু
চক্ষুপটে।
আবার মেঘলা
বাদল দিনে
সবুজ রঙিন
স্বপ্ন এনে
বিলিয়ে দিলেন
নবীন চোখে
সদ্য চারায়।
এমনধারা
খেল দেখিয়ে
দেখান বুঝি
বাহাদুরি।
সুতোয় বেঁধে
লাট খাওয়াবেন
যখন তখন
ইচ্ছে মতন,
ভাবেন বুঝি
হালকা ঘুড়ি
আমরা সবাই।
কি ভেবেছেন
এই যে মশাই।
      (১৯৮৪)