এতদিন কেটে গেল তবুও,
সময় বসে আছে আমার উপর রাগ করে।
সময় ই তো কল্পনার জরুরী বিভাগে,
তোমার নাম ঠিকানা দিয়েছিল।
বলেছিল তুমি নাকি হারিয়ে যাবে!
কল্পনা কিভাবে যেন স্মৃতিকে পটিয়ে,
তোমার সব আলামত নিজের করে নিল।
তারপর থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে
হলভর্তি করে ছায়াছবির প্রদর্শনী চালাচ্ছে।
বেশ ভালো আয় রোজগার হচ্ছে তার।
আমার পুরো শরীর ছুটি নেয়,
কল্পনার ছায়াছবি শুরু হওয়া মাত্র।
সেদিন কল্পনা কি করেছে শুনো,
কি এক নতুন দৃশ্য  নিয়ে আসল সে।
সেই দৃশ্যে আলতো করে তোমার গালে,
ঠোঁটে  ছুয়ে দিল হাত দিয়ে।
মন মহারাজের তো এই দৃশ্য ভারী পছন্দ হল!
কল্পনার বেতন বাড়িয়ে দিলেন,
সাথে আবার পদোন্নতি!
বেতন বাড়ায় তার যথেষ্ট লাভ হয়েছে,
এই তো একটু আগে প্যারিস থেকে
একটা দৃশ্যের শুটিং করে ফিরল,
রাতে বোধহয় প্রদর্শনী আছে।
কিন্তু  এদিকে বড্ড বিপদে আছি আমি!
সময়কে জোর করে দূরে ঠেলতে পারছি না,
আবার রাগ ভাঙ্গাতেও পারছি না।
তোমার রাজ্য যেদিন শেষ ঘুরে এলাম,
সেদিন থেকে সময় ভীষণ রাগ করে আছে।
তুমি যে সন্ধি করিয়ে নিলে
আর আসতে পারব না তোমার রাজ্যে,
সেদিন থেকে সে আটকেই আছে!
কথা বলে না, কেমন যেন মরার মত থাকে।
আমি অবশ্য তোমার রাজ্যের ধারে কাছে যাই না!
কিন্তু এই স্মৃতি আর কল্পনা,
রোজ তোমার কাছে নিয়ে যায়,
কিভাবে যেন তোমার রাজ্যে যাই।
বাগান পার হয়ে যখনি তোমার,
মন বাড়ির দরজার কাছে যাই,
প্রহরী মুখের উপর গেট লাগিয়ে দেয়।
সেদিন কি হয়েছে শোনো,
মন মহারাজ স্মৃতির উপর সে কি রাগ!  
তোমার কোন একটা কথা হঠাৎ মনে করিয়ে দিল।
মন মহারাজ দুদিন কল্পনার হল ঘরে আসেন নি।
স্মৃতির কি দোষ বল?  বয়স হয়েছে !  
ভুল করবে না?  
কল্পনাও বুড়ি হয়ে যাচ্ছে,
গতকাল দরখাস্ত করছে ছুটি চায়!  
আমি নামঞ্জুর করেছি।
তোমার কথা বলেছি,তুমি এলে তবেই ওর ছুটি।
বুড়ি ক্ষেপে গিয়ে আজ দু দিন ধরে,
কি সব ভয়ংকর দৃশ্য দেখাচ্ছে।
তবুও আমি ভীষণ ভালো আছি,
শুধু সময়ের বয়স টা বাড়াতে পারলাম না,
আজো সেখানেই আটকে আছে।