আমি আজ জীবন্মৃত,
ডিসেম্বরের কনকনে এক শীতের রাতে
আমার কিছু বখে যাওয়া কুলাঙ্গার সন্তানেরা
বিবস্ত্র ইজ্জতের ধর্ষিত আকাঙ্খায় আমাকে উলঙ্গ করে
উল্লাসে মেতে ওঠে, আমার অচেতন আর
রক্তাক্ত শরীরের শিরায় শিরায়,
মধ্যবিত্ত মেজাজে আঘাত করে আহ্লাদি রক্তস্নান;
আমি অচেতন পড়ে আছি ডাস্টবিনের চোয়ালে।


আমার কোটি সন্তান তখন
উপত্যকার আনাচে কানাচে, কিংবা
হাজারো নিহারীকা বিশ্বে অচেতন ঘুমে স্বেচ্ছাবন্দি।
আমার সেই সন্তান অবধি
যার আহ্লাদি গলার আওয়াজ-
ঝাঁজরা বুকে বন্দুকের গুলি নয়,
যেন নব বধুর হাতে বোনা নকশী কাঁথায় কারুকাজ।
আমার যে সন্তান,
হাত নেড়ে নেড়ে শ্লোগান দেয় মৃত্যুর মিছিলে
দিগন্তের বিস্তৃর্ণ দেয়ালে লিখে তালুবন্দি মৃত্যু
তন্দ্রাচ্ছন্ন নগরীর সুচতুর অলি-গলি বস্ত্রহীন পতিত নগরীর গল্প সারাক্ষণ,
সেই সন্তান পর্যন্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আজ।


তোমাদের কি হলো?
আমার শরীরের রক্তের উর্বরতায়
আগাছার প্রাদুর্ভাব কি তোমাদের চোখে পড়ে না?
বেয়নেটের রোজনামচা, লালসার ইস্তেহার বিলি,
তোমাদের দ্বিধাতুর আচ্ছন্নতা আমার কাছে অব্যক্ত বিশেষণ,
আর কত বিপন্ন জনপদের খোঁজে তোমরা আচ্ছন্ন,
আমি হারিয়ে যাচ্ছি
জীবন্মৃত এক নক্ষত্রের আলোয় উলঙ্গ দিগন্তের দিকে,
আগুন সংবর্ধনায় ভোরের প্রত্যাশায়।