পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে,
আমাদের প্রতিনিয়তই এখন
দুঃখিত হওয়ার জন্য নিজেকে সর্বদা প্রস্তুত রাখতে হয়!
দেশতো বটেই, যারা সৌর জগতের পর্যন্ত মালিক,
তারা মালিকানা টিকিয়ে রাখার জন্য, কিংবা
আরও নির্লজ্জ গৌরব অর্জনের জন্য,
লক করা আত্মার ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে
মাঠে-ময়দানে, জনসভায়, জনতার ঘাড়ে চড়ে
খুবই মোলায়েম স্বরে সুখ বিতরণ করে থাকেন!
জনতা নিখরচায় কুড়িয়ে ব্যাগে ভরে, সুখ নিয়ে ঘরে ফেরে,
আর মুহুর্তেই সেই সুখ, বদ বাতাস লেগে, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে,
এবং ব্যাগ ভরা কান্নারা চিৎকার হয়ে আত্মপ্রকাশ করে!
বিঘ্নরা ঘুরে বেড়ায় মাঠে ঘাটে, একটার পর একটা
বালা মুছিবত জনতার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়,
কারণ এই তৈরী করা মুছিবতগুলো আগে থেকেই সাজানো থাকে!
এভাবেই বঞ্চিতরা সুস্বাদু গল্পের ফাঁদে পড়ে
আরোপিত অশুভ দেয়ালের নীচে চাপা পড়ে জীবন হারায়!