রূপান্তরিত আত্মার সমবেত কোরাস
চিবিয়ে খায় অস্তিত্বের শিরা!
জমাট রক্ত, লাল রক্ত, নীল রক্ত, কমদামী রক্ত,
গল গল করে বয়ে গিয়ে, জমা হয় সপ্নীল শহরের পাত্রে!
এসব দেখেও আমি এক নির্বিকার, লাচার!
মাঝে মধ্যে আমাকে বহন করা,
নিজের ছায়ার বোঝাটি, বিদ্রোহী হয়ে ওঠে,
অনিবার্যতার দোরগোড়ায়, নির্লজ্জ খিঁচুনিকে পায়ে দলে,
রাগ করা ষাঁড়ের মতো,
ভেঙ্গে চূড়ে তছনছ করে দিতে চায় বোতলবন্দি অতলান্ত,
কিন্তু আমার ভেতরের, বখতিয়ারের অস্থির তেজী ঘোড়াটি,
ফ্যাসিবাদের প্রাচীর, লাত্থি মেরে বিচূর্ণ করার কথা থাকলেও
অবতরণ করে,
বিরামহীন কেঁদে যাওয়া একটি রাতের আত্মার ভেতর!
অথচ পৃথিবীতে তখন,
কিছু বিদ্রূপাত্মক রসিকতা, ন্যাকামো ফেরি করে বেড়ায়,
শয়তানি পরিকল্পনার ফাইজলামি, কম দামে বিক্রি হয়,
হতাশা বহন করার জন্য, চকচকে পাত্র বিতরণ হয়,
একটি বৃদ্ধা শহরকে কসমেটিক্সের প্রলেপ মেখে
যুবতী বানিয়ে, যুবকদের কামোত্তেজনাকে উস্কে দেয়া হয়!
কলঙ্কের পাপে জর্জরিত কতকগুলো জারজ কুকুরকে
রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে, পিঠ বাঁচাতে, দাঁড় করিয়ে রাখা হয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে।
আমি সকালের শহরে, প্রতিদিন খুঁজে বেড়াই আমার ঘোড়াটি,
কখনো বা বজ্র মেজাজের দুপুর ফুঁড়ে অস্তরাগের উঠোনে,
রাত বিরাতে, কোন ছায়াপথের হাইওয়ে ধরে।
আমার ক্লান্তিগুলো, ধূসর কোন দ্রাঘিমায়,
মাঝে মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করলেও
ঘুম আমাকে কখনো গ্রাস করতে পারেনা!
আমি আজো খুঁজে চলেছি তাকে
গ্রহের অলিতে গলিতে, উপত্যকার বিবর্ণ প্রাচীর জুড়ে!
------------------------------------------------
আসরে একমাস আগে যোগ দেয়া কবি, জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ রিপন সাহেবের পাতায়, গতকাল প্রকাশিত “রক্তস্নাত মাতৃভূমি” কবিতার মন্তব্যে উপরের পাঁচটি লাইন লিখেছিলাম। তার সাথে আরও কিছু যোগ করে, জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ রিপন সাহেবকে উৎসর্গ করে আজকে আসরে লেখাটি রাখলাম।