চিঠি নামের বস্তুটি আজ, কোথা হারিয়ে যায়!
ডাক পিয়নে ঝুলি ভরে, দিতো পাড়া গাঁয়।
যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম, পত্র ছিলো পথ
ভালো কিবা মন্দ খবর,  প্রকাশ পেত মত।
প্রতিদিনই নানা জায়গার, চিঠি আসা যাওয়া
ক’দিন বাদে চিঠি এলে, বার্তা যেতো পাওয়া।
চিঠি ছিলো একটি শিল্প,  আবেগ বাসনা
চিঠির মধ্যেই প্রকাশ পেত, চিন্তা ভাবনা।
কঠিন কিছু কথা থাকতো, বলতে হতো লাজ
চিঠির দিয়ে প্রকাশ করে, হয়ে যেতো কাজ।
ছেলে মেয়ে প্রেমের চিঠি, লিখতো মনের সুখে
লুকিয়ে লুকিয়ে আদান প্রদান, দুরু দুরু বুকে।
প্রেমিক যুগল উল্লোসিত, প্রেমের চিঠি পেয়ে
কারো কারো মন-মন্দির, দুঃখে যেতো ছেয়ে।
পাড়া গাঁয়ে অনেক লোকে, জানতো না পড়া
চিঠি পড়ে শুনিয়ে দিতো, পাশে ছাত্র যারা।
গাঁও গেরামে বিয়ে-শাদির, পাত্রী দেখা হলে
হাতের লেখা যাচাই হতো, চিঠি লেখার ছলে।
বিদেশ থেকে চিঠিসহ, সাথে আসতো টাকা
চিঠি লেখা কাগজ ছিলো, ফুলে ফুলে আঁকা।
ছাত্র, বেকার, চাকরীজীবি, সকল পেশার লোক
ডাক পিয়নের ঝুলির দিকে, থাকতো একটি চোখ।
কখন আসবে প্রাণের চিঠি, কিবা তাতে লেখা
কোনো চিঠি চোখের জলে, করুণ স্বরে লেখা।
ছাত্র শিক্ষক কর্মজীবির,   দূর-দূরান্ত  থেকে
মানি অর্ডার আদান প্রদান, টাকা আসে ডাকে।
কালের গর্ভে চিঠি লেখা, হারিয়ে গেলো কই
কোথায় হারায় চিঠির বাক্স, আবেগ প্রবন হই।