গাঁয়ের ছেলে দেশ বিদেশে, শহুরে জীবন
বিবেক আবেগ নির্বাসিত, নেই কোন বন্ধন।
ইট পাথুরে দালান কোঠা, ছোট্ট খুপরি ঘর
জীবন যেন একই বৃত্তে, ঘুরছে জনম ভর।
পাশের বাসায় কে পড়োশি, রাখেনা খবর
অসমাজিক একলা জীবন, করেনা কদর।
লোক দেখানো ভদ্রতা আর, উপর পরিপাটি
বিবেক-আবেগ নির্বাসনে, অন্তর নয় খাঁটি।
ছকে আঁকা জীবন যাপন, হিসেব চতুর্ভুজ
একটু খানি ছিটকে গেলে, জীবন বহুভুজ।
সারা দিনের কর্ম শেষে, আসি যখন ঘর
মন মগজে সস্তি পাবার, নেইতো অবসর।


সরলমনা গ্রামের মানুষ, নেইতো আপন পর
খালে বিলে বন বাদারে, কেটেছে দিন ভর।
ডালে ডালে খুঁজে ফিরি, নানা পাখির ছানা
চুরি করে আমটি খেতে, ছিলো না মানা।
বিকেল হলে খেলার মাঠে, সবাই চলে যাই
কেউবা বসে খেলা দেখি, সবার সুযোগ নাই।
বাবা মায়ের কৃষি কাজে, মিলে পরস্পর
ফসল কাটার সময় হলে, পাইনি অবসর।
কারো কোন বিপদ হলে, তাহার একার নয়
সবাই নিজের মনে করে, বিপদ হতো তয়।
নানা গ্রামের ছেলে মেয়ে, পড়েছি এক স্কুলে
দুর দুরান্তে হেঁটে গেছি, আমরা সবাই মিলে।
ছাত্র ভালো মন্দ নিয়ে, নেইকো ভেদাবেদ
সবাই যেন সবার আপন, নেই কোন প্রভেদ।
জীবন আজি পাল্টে গেছে, কেউ আছে প্রবাস
নাড়ীর বাঁধন ছিন্ন জীবন, করছে উপহাস।
দিনে দিনে বেলা হলো, তরী আজ তীরে,
ফেলে আসা দিনগুলোকে, খুঁজি ফিরে ফিরে।