হরিদাস, তুই লিখেছিলি-
পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী ঈশ্বরের বিপরীত দিকে
পৃথিবীর সাতশত কোটি উদ্বাস্তু ক্ষুধা আর
স্নায়ুবৈকল্যে ভোগা পৃথিবীর করুণ বিলাপ;
পৃথিবীর ভাঁজে ভাঁজে ঈশ্বরের দূত আলখাল্লা পড়ে
অদৃশ্য লুকিয়ে হাসে অল্পকজন শ্বাসরোধকারী,
তাদের বিপরীতে অসহায় দাঁড়িয়ে ক্ষুধার্ত পৃথিবী,
তাদের আঙ্গিনায় ছটফট করে তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুধাগুলো;
শীর্ণদেহ, পাণ্ডুবর্ণ দারিদ্রতা শুয়ে থাকে মৃত্যুর কোলে
দিনে দিনে ক্ষয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বের বিবর্ণ উত্তরাধিকার
সীমাহীন মর্মবেদনায়, ভ্গ্নস্তূপে উপুর হয়ে পড়ে আছে
যন্ত্রণাবিদ্ধ বিশ্ব মানবতা।


ক্ষুধাতুর সন্তানের কষ্টে পৃথিবীর বেআব্রু ইজ্জত উন্মুক্ত করে
ঈশ্বর 'জাতিসংঘ' মুলোটি ঝুলিয়ে রাখে নাকের ডগায়,
অথচ মুলোর আড়ালে বিষাক্রান্ত নীল শোষণ দাঁড়িয়ে।
শ্রমিকের শরীর থেকে ঝরে পড়া হীরের ফোটার
উত্তরাধিকার শ্রমিকের নয়;
শতকোটি স্বপ্ন শস্যদানা হয়ে ঈশ্বরের গোলায়,
পরিখার ভেতরে মৃত্যু বুকে নিয়ে ঘুমায় জঠরানল।
অথচ কি আশ্চর্য,
প্রতিনিয়ত তৃতীয় বিশ্বের ঘুম ভাঙ্গায় মুমূর্ষু ঊষার আলো
যারা অভেদ্য দুর্গপ্রাচীরে বুলেটের ছিদ্রপথে ঢুকে পড়ে।
এসব কিছু ছাপিয়ে
তস্কর প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারের ন্যয় ঈশ্বরের দূত
পাপের পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের বাণী ও
নির্লজ্জ বেশুমার তারিফ বিলি করে দুনিয়ার পথে পথে।


মুখে কুলুপ আটা কুঁজো ও গরীব মেজাজের প্রতিবাদগুলো
মজলুম পৃথিবীর পক্ষে দাঁড়াতে পারেনা;
চিৎকার করে বলতে পারেনা-
আমরা তোমায় অক্সিজেন জোগান দেই বলেই তুমি ঈশ্বর বেঁচে আছো,
আর আমরা বেঁচে আছি বলেই তুমি ঈশ্বরের ভুমিকায়।