হরিদাস, তোর চিঠি আমি পেয়েছি,
উদ্বেগের চাদরে মোড়ানো তোর দ্রোহের হিম্মৎ
নীরক্ত দেয়ালের চারদিকে কাতরায়,
যেন গরুর জাবরকাটা বিচালি।
গ্রীষ্মের খড়তাপে যেন অস্থিরতার তুষার গলে নিয়ত,
আপাতত তোর অভিমানগুলো আলিঙ্গনাবদ্ধ
মধুর উপহাসের রসালো বিজ্ঞাপনে স্থান করে নেয়।


তুই বলছিলি-
তোর স্বপ্নগুলো স্পন্দমান নখরে বিদ্ধ
চিরচেনা প্রতিবেশ যেন অচেনা উপত্যকার আগন্তুক,
করুণার ফটকে একরাশ সান্তনার আয়নায়
অসহায় বিমর্ষ সোচ্চারের ছবি ভাসে অবিরাম;
তোর মুক্তির ক্ষুব্ধতাগুলো ভেতরে ছড়ায় স্ফুলিঙ্গের আবীর
ঠোঁট উল্টানো জবাব দিতে গিয়ে অব্যক্ত কাঁপে,
তোর মুদ্রিত চক্ষুদ্বয় দেখে, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভা
নিঃশব্দের মতো ঘুমায় অবেলায়।


তুই আরও বলছিলি-
অব্যক্তরা হাতড়ায় রাতের দেয়াল, যেন কামারের হাপর উঠানামা;
আহতরা তোর আকাঙ্খাগুলো খায় অজান্তে
শ্রবণযোগ্য অভিযোগের পাহাড় চাপা পড়ে
আশীর্বাদপুষ্ট অভিঘাতীর উঠোনে,
অজামিনযোগ্য রাতের আঁধারকে পুঁজি করে
সূর্যাস্ত মাখে আতঙ্ক চোখে-মুখে,
উদোমাশ্রিত কতিপয় শকুনের তেলতেলা পালক
ঢেকে দেয় কফিনবন্দী স্বাধীনতা।
------------------------------------


[বি.দ্র: মার্শাল কবি (মার্শাল ইফতেখার আহমেদ) গতকাল তাঁর “কষ্টাত্মার ক্ষোভ” কবিতার মন্তব্যের আলোকে একটি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সেখানে মূল্যবান এই হীরক খন্ডটি আমি কুড়িয়ে পাই- “আমি ধৈর্যহারা নই, আমিই আনবিক বোমা!”


হরিদাসের চিঠি-তিন, আমার এই সামান্য লেখাটুকু আমি প্রিয় কবিকে উৎসর্গ করলাম।