তুই বলছিলি সেদিন,
অচেতন নক্ষত্ররাজির প্রবেশ দ্বার
খুলতেই ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে, অদেখা আওয়াজগুলো
তাড়িত করে প্রহরীদের;
বাসিন্দারা নেশাগ্রস্তের ন্যায় উন্মৃখ,
ব্যাকুল বিস্ময়ে গোগ্রাসে গিলছে ধ্বনিগুলো।


তাদের কাছ থেকে আমি জেনেছি
সাবেক পৃথিবীর গুণগান, কয়েদির বিলাপ,
দুর্গন্ধযুক্ত দোষারোপ, বিদ্বেষের অনিশ্চয়তা
কিন্তু অনাগত দিনের প্রতি তাদের
অধিকাংশকেই ভীত হতে দেখেছি।
কিংবা দুর্গ ভেঙ্গে ভোরকে
স্বাগত জানানোর যে বিষাক্ত সাহস,
আহত বাক্যগুলোর যে করুণ দশা,
তাও ভেবে ভেবে বিবেকের দংশনে নীল।


তোকে শুনতেই হবে আজ,
যেখানে কবি আর চৌকিদারে কোন ফারাক নেই,
অবনত মস্তকে ন্যায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে ডাস্টবিনে।
ইনসাফের দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা,
বিষাক্ত আকাশে উড়ছে শকুন,
মধ্য দুপুরকে উপহাস করছে
একদল ধূর্ত শেয়াল, খুবলে খাওয়ার নেশায়।


যে ছিলো একদিন তাগড়া জোয়ান,
সে যেন আজকাল বিকলাঙ্গ আর্তনাদ;
নাজাত পাওয়ার গোপন আশায়
নগরীর দ্বারে দ্বারে ফেরারী নিঃশ্বাস,
বিকলাঙ্গের হামাগুড়ি,
শত কসরতেও ভাঙ্গাতে পারেনা দিবানিদ্রা,
আমি বেরিয়ে পড়ি নিশ্চুপ;
আমাকে হাজার প্রশ্ন করেও তুই উত্তর পাবিনা,
কারণ-
এর উত্তর আমার জানা নেই।