কষ্টের পর্দা নিত্য সরাই দুইহাত ভরে
তবুও আকাশ ভেদ করে, ঢুকে পড়ে
তাজা অন্ধকার।


শঙ্কার কালো চোখ,
ভৌতিক ঠোঁটে মৃদু তাচ্ছিল্যের কালো মুখ;
কৃত্রিম দাঁতাল মুখে
থ্যাঁতলানো, আয়েসি খিঁচুনির শল্লায়
খুলে যায়, অসংখ্য আগন্তুক দুয়ার।


আমি প্রতিটি দুয়ারের কাছে যাই
ভোরের দুয়ারটা হাতড়াই;
কারণ, আমি খুব দ্রুত বাড়ি যেতে চাই-
আমার মাথায় আল্লাহর চার বান্দার
ভাত-কাপড়ের বোঝার সংসার।


তাপদগ্ধ প্রহরের কিনার ধরে হাঁটি
মৃত্যুর ঠাণ্ডা হাত, স্পর্শ করা মাটি
ফেটে চৌচির। তবুও প্রাণপন হাঁটছি অবিরাম,
যেমনটা হেঁটে গিয়েছিলাম হার্বারফ্রন্ট থেকে বাতাম,
সেখান থেকে পাওরাত ও সুবর্ণভূমি হয়ে
জন্মভূমিতে আমার।


হাঁটছি দ্রুত, ক্রমাগত, আমার জীবনে
অর্ধেককে ফেলে এসেছি পেছনে,
যেমনটা আমাদের নক্ষত্র কবি,
ধূসর পাণ্ডুলিপির মায়ায়
চুয়ান্ন বছরের দুনিয়ায়
পথ হাঁটিতেছেন হাজার বছর ধরে,
হাঁটিতেছেন অনিবার!