আমার চারপাশে, মুহূর্তগুলো-
কান খাড়া করে দাঁড়িয়ে থাকে হুশিয়ার প্রহরীর মতো,
এবং স্বপ্নের নির্বাক সারথিরা
আমার নির্জন রাতের দেয়ালে ঘুম এঁকে যায় !
এ সময় আমার হাতে কিছু পালক উঠে আসে,
হাত নাচায়, আমি সুবোধের মতো,
হুলিয়া মাথায় পড়ে থাকি, দিন-রাত্রির অন্তরালে!
অবেলায় সন্ধ্যা নেমে আসে বলে,
গাছপালা, নদী, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ, শীতল বনানী, প্রাসাদ,
রাজ পথের ভিড়ে তলিয়ে যাওয়া জীবনকে খুঁজে ফিরি!


অস্থাবর ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে চরাচর,
শোকের মিছিল,
বিভাজনের গন্ধ লেগে থাকা তকলিফ,
আছাড় খাওয়া কাস্তে চাঁদ,
আলিঙ্গনের প্রত্যাশায় কাঁপতে থাকা মেঘ,
স্বপ্নভস্মের ছাই উড়ানো কাল দেখে দেখে,
আমি সেচ্ছায় হত্যা করি প্রতিটি প্রহর!
আজকাল আমার একশত পঞ্চাশ কাঁচের ওপারে,
উপত্যকার বিবর্ণ প্রাচীর আর গোধূলীর রঙ
কেমন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়!