কোথাও এক টুকরো ছায়া নেই বনস্পতির,
কিংবা কাশফুলের-
স্বরনম্র আহ্বান, যার ওপর নির্ভর করা যায়,
এবং কাটিয়ে দেয়া যায় একটি প্রহর।
বরং শরতের প্রতিটি আঙিনায়
হাঁটলে, পেছন থেকে তাড়িত করে বেড়ায়
হিংস্রতার গুপ্ত নহর।


মৃত্যুরা নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে শহরের-
আন্ধা গলির চিপায়-চাপায়, ফুটপাতের,
কিংবা রাজপথে পাতা চারের বাঁকে,
আয়না ঘরের টর্চার সেলে, হাইওয়ে সড়কে,
এবং কৃতান্ত সীমারের কাফনের মতো সাদা লালসার আবরকে।


জননীর সোনালী সম্ভ্রম, বোনের
রাখি পড়ানো হাত, ভাইয়ের অনাগত দিনের
হাতছানি, বাবার জায়নামাজ ছিন্নভিন্ন হয়
পোষাকী কুকুরের অশুভ ছায়ায়।
ভূমি মাইনের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পেতে রাখা দুঃখের চুলায়
আঁচ দেয়ার পুরষ্কার উঠে, বধ্যভূমির শেয়ালের গলায়!


মায়ের দুঃখদীর্ণ অবয়ব দেখে
ব্যর্থ গর্জায় তাঁর অক্ষম সন্তান,
এবং উপত্যকার মাজলুম কান
হাজার কোলাহলের ভেতরে খুঁজে ফেরে
জিব্রাইলের অশ্বখুরের প্রতিধ্বনি!