মূরের রাজ্যে ক্ষুধার্ত ঈশ্বর
যেন মিথ্যা উৎপাদনকারী মেশিনের বিক্রয়কর্মী ইদানিং;
মাটির দাস ও কামলাদের স্বাধীনতা ও সন্তুষ্টিগুলোও
দখলে চলে গেছে তাদেরই লোভের মালিকানায়!
দোজখ নসীবের স্বপ্নরা অশ্রুর বলয়ে বাষ্পের স্তরে ভর করে উড়ে,
উত্তপ্ত মরুভূমির বালির উপরে শুয়ে থেকে কাটিয়ে দেয় বেলা-অবেলা।
তারা রক্তক্ষরণ এবং মরণকে স্পর্শ করে
মাটির গর্তে ঘুমিয়ে থাকে কখনো সখনো!
বালি খনন করে সেখানে স্বপ্নের বীজ বুনে,
আর প্রতিনিয়ত সেখানে উৎপাদন হয় দুঃখের টুকরা;
তারা অহরহ শব্দ প্রেরণ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু
মুখ থেকে কোন আওয়াজ বের হয়না,
তাই সেটি ফিরে আসে আবার নিজের কাছে, প্রাপকবিহীন চিঠির ন্যায়।


যারা একদিন স্বপ্ন ও পথ দেখাচ্ছিলো সভ্যতাকে
বিস্তীর্ণ প্রান্তর পেরিয়ে তারাও একদিন বিপ্লবী ছিলো,
এখন সেটি তাদের স্মৃতি থেকে মুছে গেছে,
তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসটি শিলাবৃষ্টির আঘাতে পুড়ে গেছে,
দীর্ঘশ্বাস খেয়ে খেয়ে এখন যোদ্ধারা পঙ্গু,
এখন মুখোশ-আঁটা ও পেরেক মারা উদ্বাস্তু বিপ্লবীরা
বিভাজন রেখার ওপারে ঘুমিয়ে আছে ঝুলন্ত তক্তায়;
পৃথিবীর সব আলো নিভে যায় ন্যায়ের আদর বঞ্চিত হয়ে;
আমরা চাই বিপ্লবীরা এক পশলা বৃষ্টির মওসুম এনে দিক!