আগামীকালের উদ্দেশ্যে,
ছোট্ট একটা আশাবাদী হাসি উপহার দিয়ে,
টুপ করে সূর্যটা হারিয়ে গেলো
আলো চুষে খাওয়া, হতাশার প্রাক্তন গহ্বরের ভেতর!
তার একটু পর পরই, তামাটে হলুদের জমিন জুড়ে
আধ খাওয়া একটি চাঁদ,
ঝুলে পড়ে আমাদের নারকেল গাছটার ঠিক মাথার ওপর!
তা ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে ছিটিয়ে দেওয়া তারাগুলি
মিট মিট করে জ্বলতে থাকে, পুরো আকাশ জুড়ে,
মেঘেদের কোন উৎপাত ছাড়াই!
ঠিক এই সময়টাতেই,
যে স্বপ্নের বোঝাটি বহন করার অপরাধে,
আমি এতোদিন ধরে, অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাসকে আটকে রেখেছিলাম,
তাদের সবকটাকে ছেড়ে দেই, সেই তারাদের দেশে!
ভেবেছিলাম, এরা হয়তো অল্প কিছু আলো রেখে যাবে আমার জন্য,
কিন্তু সহানুভূতির মালিকানায়, কিছু ছদ্মবেশী শব্দ ছাড়া
সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও, আর কিছু পেলাম না আমি!
আমার অর্ধেক ভুলে যাওয়া সময়টিকে পুনরায় বিনিয়োগ করি,
তারপরই চোখে পরে,
চারদিকে পেটি পণ্ডিতদের, লাইসেন্সবিহীন বক্তব্যের রমরমা কারবার;
কোথাও ধার্মিকতা গলানো সুপ্ত ঘৃণা,
প্রতিটি বাঁকেই অনিশ্চিত গন্তব্যের হাতছানি দেয়;
আবেগগুলো গোপনে মুখ টিপে হাসে, আর
কোন যত্ন ছাড়াই কিংকর্তব্যগুলো,
আগাছার মতো বাড়তে থাকে পুরো দেশ জুড়ে!