সময়ের উদাসীনতার এই কালটাতে,
গনগনে আঁচের আগুন খেয়ে হলেও,
আমার দীর্ঘশ্বাসগুলোকে বাঁচানোর জন্য, আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি!
কিন্তু চৈত্রের তৃষ্ণার্ত প্রকৃতির দীর্ঘশ্বাসের যন্ত্রণায়,
অবিরাম কেঁদে যাওয়া তৃণের মতো,
প্রাচীরযুক্ত খাঁচায়, আমার ভেতরের ধ্রুব রুদ্ররা,
তিলে তিলে পুড়তে থাকে, চিৎকার করা সময়ের যন্ত্রণার ভেতর!
অদেখা ভয়ের বিদ্রূপাত্মক জিম্মায় বসবাস করে,
স্থির দুঃখের, অস্থির পায়তারা
আমার সমস্ত ক্রোধকে, গ্লানির শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলে!
সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া কথাগুলি,
নীরবতার কাফন পরে, জন্মের পরপরই মারা যায়।
আমি আবার কোমড়ে গামছা বেঁধে,
বেছে বেছে, মেধাবী চেষ্টাগুলিকে পুনরুদ্ধার করে
ঘষামাজা করতে করতে আবার চকচকে করে তুলি,
কিন্তু তারাও পুনর্বার
সত্যের মজুরি হিসেবে, রক্তাক্ত জীবন নিয়ে ঘরে ফেরে!
ঠান্ডা বিদ্বেষ ফেটে জন্মানো তেজস্ক্রিয়তায়,
যখন মানবতার শব্দহীন কান্নার আওয়াজ,
অশ্রুর গলির ভেতর দিয়ে তাড়া খেয়ে ছুটতে থাকে,
তখন মহান বিচারকের কান ভারী করা ছাড়া
আমার হাতে আর কোন কর্মসূচী অবশিষ্ট থাকেনা!
অতল গহ্বর থেকে, ক্ষুধার্ত আত্মার কান্নার আওয়াজ
আমার ঘরের জানালা গলে, যখন ঘরের ভেতর ঢুকে পরে,
ঠিক তখনই, সময়ের মুখোশ পরে, তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে হাসতে
দ্রুতবেগে ডানদিকের একটি ভবনে লুকিয়ে পড়ে, লেন্দুপ দর্জির প্রেতাত্মা!